মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা-ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নিম্নাঞ্চল ও লোকালয় থেকে এখনো সরেনি পানি। ফলে বন্যার্তদের ভোগান্তি চরমে। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার হাজার হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি আছেন। তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট। ফলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি গো-খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে, গত শুক্রবার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধরলার পানিও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি  বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে সবকয়টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যার্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। পাশাপাশি গো-খাদ্য চরম সংকট দেখা দিয়েছে। লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে গত কয়েক দিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসব অঞ্চলের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তাঘাটে পানিতে তলিয়ে গিয়ে চলাচলের কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
শনিবার সকাল থেকে তিস্তা ও ধরলা নদীর  পানি কমতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ। বিশেষ করে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, বন্যার্ত পরিবার গুলোর সব সময় খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমি সবসময় তাদের পাশে থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, বন্যার্ত পরিবারদের মাঝে ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বন্যার্তদের মাঝে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যার্তদের খোঁজখবর নিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জনপ্রিয়

তিস্তা-ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশের সময়: ০৯:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নিম্নাঞ্চল ও লোকালয় থেকে এখনো সরেনি পানি। ফলে বন্যার্তদের ভোগান্তি চরমে। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার হাজার হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি আছেন। তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট। ফলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি গো-খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে, গত শুক্রবার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধরলার পানিও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি  বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে সবকয়টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যার্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। পাশাপাশি গো-খাদ্য চরম সংকট দেখা দিয়েছে। লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে গত কয়েক দিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসব অঞ্চলের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তাঘাটে পানিতে তলিয়ে গিয়ে চলাচলের কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
শনিবার সকাল থেকে তিস্তা ও ধরলা নদীর  পানি কমতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ। বিশেষ করে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, বন্যার্ত পরিবার গুলোর সব সময় খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমি সবসময় তাদের পাশে থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, বন্যার্ত পরিবারদের মাঝে ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বন্যার্তদের মাঝে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যার্তদের খোঁজখবর নিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।