বৃদ্ধ সাদেক আলী সরদার (৬৬)। বিশাল দৈর্ঘ্যপথ হেঁটে পাড়ি দিবেন কোন একস্থানে। কিন্তু কোথায় পৌঁছাবেন সেটি বলতে নারাজ তিনি। ইতোমধ্যে সেই গন্তব্যে পৌঁছার উদ্দেশ্যে শুরু করছেন অনুশীলন। সঙ্গে নিয়েছেন তারই ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬) কে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্নস্থানে ৩৯তম দিনে এক হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন এই বাবা-ছেলে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে গাইবান্ধা-বামনডাঙ্গা-রংপুর সড়কে হেঁটে চলতে দেখা যায় ওই বাবা ও ছেলেকে। সকালে গাইবান্ধার সাদেক চত্বর থেকে বের হয়ে রংপুরের বদরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তারা। এ পথে টানা ৯৭ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দা সাদেক আলী সরদার। চাকুরী করছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ইতিমধ্যে ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণ করেছেন। এখানে চাকরী করার সুবাদে শরীর চর্চার অভ্যাসটুকু রয়েছে তার। এ থেকে স্বপ্ন দেখেন বিশাল লম্বা পথ হেঁটে পাড়ি দিবেন কোন একটি স্থানে। সেই জায়গায় যাওয়ার আগেই শুরু করছেন হেঁটে চলার অনুশীলন। সফর সঙ্গী হিসেবে যোগ দিয়েছেন তার ছেলে মোস্তাফিজুর।
এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধা সাদেক চত্বর থেকে স্থানীয় ফুলছড়ি থানা চত্বর পর্যন্ত প্রথম পথ হাঁটা শুরু করেন। এখানে প্রাথমিকভাবে ২৮ কিলোমিটার হাঁটছেন তারা। এরপর পর্যায়ক্রমে গাইবান্ধা থেকে দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পঞ্চগড়, হিলি স্থলবন্দরসহ আরও বেশ কিছু স্থানে পদার্পণ করে। ওইসব স্থানগুলোতে তারা দেখছেন দেশের নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য। কিছুদিন আগে গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ৩৮ তম দিনে টানা ২২৬ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়াসহ আজ রোববার (৫ জুন) রংপুরের বদরগঞ্জ পর্যন্ত ৯৭ কিলোমিটার পথ রওনা দিয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সর্বমোট এক হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন ওই বাবা-ছেলে। দেশের অন্যান্য ব্যক্তির হাঁটার ইতিহাসে সাদেক আলী ও মোস্তাফিুর সেটির রেকর্ড ভাঙতে শুরু করছে তারা।
বাবা ভ্রমণসঙ্গী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাবার স্বপ্নপরণে আমিও সঙ্গী হয়েছি তার। এতে করে বাবা-ছেলে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক অটুট থাকবে।
এই ভ্রমণের অন্যতম ব্যক্তি সাদেক আলী সরদার জাগো২৪.নেট-কে জানান, ওইসব স্থান বাদে আরও লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার স্বাদ দীর্ঘদিনে। তাই পা-গুলোকে বাহন হিসেবে হেঁটে চলা শুরু করা করা হয়েছে। তবে তার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জানাতে নারাজ ছিলেন তিনি।

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট: 
























