তোফায়েল হোসেন জাকির: ফের গত কয়েকদিন ধরে গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। সেই সঙ্গে অসহনীয় গরমের ফাঁদেপড়ে রিকশাভ্যান চালকসহ অন্যান্য শ্রমজীবি মানুষগুলোর কমেছে আয়-উপার্জন। এর ফলে থমকে গেছে তাদের জীবনযাত্রা।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়- তীব্র গরমের শিকার মানুষদের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় জীবিকার তাগিদে বের হওয়া রিকশাভ্যান চালকরা তাদের ঘামঝড়া দেহ নিয়ে হাপাচ্ছিলেন।

দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় টানা এক সপ্তাহজুড়ে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। দেখা নেই বৃষ্টির। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। তীব্র গরমের তাদের কমেছে কর্মদক্ষতা। শ্রম দিয়ে ঠিকভাবে কোন কাজকর্ম করতে পারছে না। তবুও রোজকার লড়াইয়ে ছুটছে এদিক-সেদিক।

বিশেষ করে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকরা জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বার্ধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে অনেকে মানবেতর জীবযাপন করছেন। এরপাপাশি বাড়ছে নানান রোগবালাই। তাই তীব্র তাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে।

রিকশাভ্যান চালক আজাহার উদ্দিন বলেন, শ্রাবনের এই তীব্র রোদের কারণে গাড়ী চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। যার ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।

আরেক চালক নেহাজ আকন্দ বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে সড়কে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এক টানা যাত্রী বহন না করতে পেরে সংসারের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিএনজি চালক আলতাব হোসেন বলেন, অস্থির গরমের কারণে রাস্তাঘাটে যাত্রী কমেছে। আগে দৈনন্দিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া পাওয়া যেতো। এখন ৩০০ টাকাও রোজগার হয় না। এতে করে ধারদেনায় সংসার চালাতে হচ্ছে।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহেল মাফী বলেন, গরমের কারণে সম্প্রতি জ্বর-ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বাড়ছে। এ বিষয়ে মানুষদের সেবা দেওয়াসহ তাদের সচেতনতা করা হচ্ছে।