নিয়মিত তদারকি না থাকায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে, ফুটপাতে ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজের সামনে নোংরা পরিবেশে খোলা স্থানে নানা ধরনের মুখরোচক খাবার বিক্রি হচ্ছে।আর এসব মানহীন অস্বাস্থ্যকর খাবার খোলা জায়গায় তৈরি করে খোলামেলাভাবেই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
বিশেষ করে মাধবপুর পৌর শহরের ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলো ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।পুরোনো তেলে প্রস্তুত করা ধুলাবালি মাখা এসব খাবারে রয়েছে নানা ধরনের জীবাণু,আর এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
যদিও ভেজাল উপকরণ ও ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন এ সব খাবারের দাম একটু কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ দেদারছে কিনে খাচ্ছে। আর এসব দেখ বালের দায়িত্ব,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,স্থানীয় প্রশাসন সহ, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর,সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। কিন্তু দিনের পর দিন চলতে থাকা এমন পরিস্থিতিতেও নেই তেমন কোনো তদারকি।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাধবপুর পৌর শহরের ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মুন্সী টাওয়ারের সামনে খোলা জায়গায় চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করছিলেন এক এক ব্যাক্তি। সাংবাদিক বুঝতে পেরেই তিনি বলে উঠলেন দোকানের মালিক অন্য জন।খাবার কিনতে আসা এহসান নামে একজন ক্রেতার কাছে এর স্বাস্থ্যগত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , হ্যাঁ জানি এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু এখানে আসলে লোভ সামলাতে পারি না।অন্য আরেক ক্রেতা জানান পেঁয়াজু, আলুর চপ খেতে বেশ লাগে। যদিও এসব খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে তারপরে খাচ্ছি।
ফুটফাতে বিক্রি করা অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা বলছেন এসব খাবারে প্রচণ্ড স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। ফুড পয়জনসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত ডায়রিয়া, কলেরা, বমি, প্রচণ্ড পেট ব্যথা, এসিডিটির মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে জানতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ এর সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ফুটফাত সহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে আমাদের নজরদারি আছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা সেটা দ্রুত নিষ্পত্তি করছি।
ইয়াছিন তন্ময়, জাগো২৪,নেট, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) 



















