মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদুল্লাপুরে ২ বছর ধরে নেই এসিল্যান্ড, ভোগান্তিতে জনগণ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ২ বছর ধরে নেই এসিল্যান্ড। একই সঙ্গে কানুনগো নেই প্রায় এক যুগ ধরে। এর ফলে ভূমি সংক্রান্ত দাপ্তরিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ।

সরেজমিনে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা মানুষদের ভোগান্তির চিত্র। এসময় সার্ভেয়ার ও নাজিরের অফিস কক্ষেও তালা ঝুলছিল।

জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সঞ্জয় কুমার মহন্ত এ অফিস থেকে বদলী হন। এরপর থেকে রহিমা খাতুন, উত্তম কুমার রায়, আরিফ হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে। সেটি ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত পৃথক দায়িত্বে ছিলেন তারা।

সাদুল্লাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ২ বছর ধরে এসিল্যান্ড না থাকায় জমাখারিজ, মিসকেস, অর্পিত সম্পত্তির একসনা, খাস জমির বন্দোবস্ত, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা, ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলাসহ ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসা মানুষরা মাসের পর মাস ঘুরছেন। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ খরচসহ নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। জমির খারিজ করতে বিলম্ব হওয়া জমাজমি কেনা-বেচা করতে না পারায় বিভিন্ন দায়-দেনা মিটাতে পারছে না। ফলে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে এসিল্যান্ড পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ। তিনি উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় ভূমি সংক্রান্ত কাজ সারতে বিলম্ব হচ্ছে বলে সেবা প্রত্যাশীরা জানান।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন ইউনিয়ন তহসিল অফিসের কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নেই সাদুল্লপুরে। এসিল্যন্ড পদটি শূন্য থাকায় ভূমি অফিসের খাজনা আদায় করা ছাড়া অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ইউএনও স্যারকে দিয়ে সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ সারতে গিয়ে নানা অসুবিধা দেখা দিচ্ছে।

জমাখারিজ করতে আসা ছাদেকুল ইসলাম (কেস নং ১৩৯৯) বলেন, ৫ হাজার টাকাসহ প্রায় দেড় মাস আগে জমির খারিজ করতে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ঘুরেও অদ্যবদিও খারিজটি হাতে পাওয়া যায়নি। একই কথা জানালেন আমিনুর রহমান নামের এক সেবা প্রত্যাশী।

এসিল্যান্ড না থাকার বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য দেননি।

জনপ্রিয়

সাদুল্লাপুরে ২ বছর ধরে নেই এসিল্যান্ড, ভোগান্তিতে জনগণ

প্রকাশের সময়: ০৯:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ২ বছর ধরে নেই এসিল্যান্ড। একই সঙ্গে কানুনগো নেই প্রায় এক যুগ ধরে। এর ফলে ভূমি সংক্রান্ত দাপ্তরিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ।

সরেজমিনে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা মানুষদের ভোগান্তির চিত্র। এসময় সার্ভেয়ার ও নাজিরের অফিস কক্ষেও তালা ঝুলছিল।

জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সঞ্জয় কুমার মহন্ত এ অফিস থেকে বদলী হন। এরপর থেকে রহিমা খাতুন, উত্তম কুমার রায়, আরিফ হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে। সেটি ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত পৃথক দায়িত্বে ছিলেন তারা।

সাদুল্লাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ২ বছর ধরে এসিল্যান্ড না থাকায় জমাখারিজ, মিসকেস, অর্পিত সম্পত্তির একসনা, খাস জমির বন্দোবস্ত, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা, ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলাসহ ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসা মানুষরা মাসের পর মাস ঘুরছেন। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ খরচসহ নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। জমির খারিজ করতে বিলম্ব হওয়া জমাজমি কেনা-বেচা করতে না পারায় বিভিন্ন দায়-দেনা মিটাতে পারছে না। ফলে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে এসিল্যান্ড পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ। তিনি উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় ভূমি সংক্রান্ত কাজ সারতে বিলম্ব হচ্ছে বলে সেবা প্রত্যাশীরা জানান।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন ইউনিয়ন তহসিল অফিসের কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নেই সাদুল্লপুরে। এসিল্যন্ড পদটি শূন্য থাকায় ভূমি অফিসের খাজনা আদায় করা ছাড়া অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ইউএনও স্যারকে দিয়ে সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ সারতে গিয়ে নানা অসুবিধা দেখা দিচ্ছে।

জমাখারিজ করতে আসা ছাদেকুল ইসলাম (কেস নং ১৩৯৯) বলেন, ৫ হাজার টাকাসহ প্রায় দেড় মাস আগে জমির খারিজ করতে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ঘুরেও অদ্যবদিও খারিজটি হাতে পাওয়া যায়নি। একই কথা জানালেন আমিনুর রহমান নামের এক সেবা প্রত্যাশী।

এসিল্যান্ড না থাকার বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য দেননি।