গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম পদে লোক নিয়োগে অনিয়ম এবং দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বুধবার (২৩ আগস্ট) উক্ত নিয়োগ কমিটির সদস্য ও উপজেলার বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এই মডেল মসজিদের জন্য একজন পেশ ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও দুইজন খাদেম নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি কোন পত্র-পত্রিকায় প্রচার করা হয়নি। শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুকে প্রচার করা হয়। বিধি মোতাবেক সাধারণত যে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার বা প্রকাশের পর আবেদন গ্রহণের জন্য ১৫ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণের জন্য মাত্র ৫দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দেশের অন্যান্য মডেল মসজিদে পেশ ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা অনুর্ধ্ব ৪৫ বছর নির্ধারণ করা হলেও সাদুল্লাপুরে বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর হতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর ফলে ৩০ বছরের নীচে অনেক যোগ্য প্রার্থী এই পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার সুযোগ পায়নি। অপরদিকে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতায় তৃতীয় বিভাগ না থাকা সত্তে¡ও তৃতীয় বিভাগ দেখায়ে আবেদনপত্র বাতিলও করা হয়।
ইমাম পদে আবেদনকারী মো. মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, পেশ ইমাম পদে আবেদনের সময় তার বয়স ছিল প্রায় ২৯ বছর। একারণে তার আবেদনপত্র বাতিল করা হয়। অথচ দেশের অন্যান্য এলাকায় মডেল মসজিদের ইমাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা শুধুমাত্র অনুর্ধ্ব ৪৫ বছর উল্লেখ ছিল।
মুয়াজ্জিন পদে আবেদনকারী মো. শফিউল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তিনি দাখিল ও আলিমে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছেন। অথচও দাখিল ও আলিমে তৃতীয় বিভাগে উর্ত্তীণ দেখায়ে তার আবেদন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
নিয়োগ কমিটির সদস্য ও বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা বলেন, গত ১৩ এপ্রিল তৎকালীন ইউএনও মোছা. রোকসানা বেগম ইমামসহ অন্যান্য পদে লোক নিয়োগ করা হবে বলে একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন। এসময় তিনি আমাকে আরও বলেন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদনের দিন তারিখ আপনাকে পরে জানানো হবে। কিন্তু পরে আর জানানো হয়নি। পরে এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বঞ্চিত প্রার্থীদের নিকট জানতে পারি অত্যন্ত রাখ ঢাক করে অতি দ্রæত গত ঈদ-উল ফিতরের আগে (গত ১৫ এপ্রিল) নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
এই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. হেলাল উদ্দিন সংবাদকর্মীদের জানান, গত ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এই মসজিদে নামাজ শুরু করার নির্দেশনা থাকায় তড়িঘড়ি করে এই লোক নিয়োগ সম্পাদন করা হয়। এতে ইমাম পদে ৭টি, মুয়াজ্জিন পদে ৭টি ও খাদিম পদে ৩টি আবেদনপত্র জমা হয়। এরমধ্যে বয়স কম থাকায় ইমাম পদে ২টি, শিক্ষাগত যোগ্যতায় তৃতীয় বিভাগ থাকায় মুয়াজ্জিন পদে ৩টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
তৎকালীন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের উপ-পরিচালক মোছা. রোকছানা বেগম সংবাদকর্মীদের জানান, বিধি মোতাবেক এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্টে, জাগো২৪.নেট 


















