মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় করেছে সেনা সরকার। সু চির বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি ওয়াকিটকি পেয়েছেন সেনারা। এসব ওয়াকিটকি অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি সেনাদের। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে সু চির দুই বছরের জেল হতে পারে বলে একটি প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান।
আমদানি-রপ্তানি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সু চিকে ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এনএলডির এক মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
মিয়ানমারের রাজধানীর একটি পুলিশ স্টেশনে দায়ের হওয়া মামলার নথি থেকে জানা যায়, নেপিডোতে সু চির বাসভবনে সেনা কর্মকর্তারা তল্লাশি চালিয়ে ছিলেন। তল্লাশিকালে তাঁরা সু চির বাসভবনে একাধিক ওয়াকিটকি পান।
মামলার নথি অনুযায়ী, সু চির বাসভবনে পাওয়া এসব ওয়াকিটকি অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। সু চির দেহরক্ষীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এই ওয়াকিটকিগুলো ব্যবহার করেছেন।অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে তাঁর দল ন্যাশনামে ২৬ বছর বয়সী ফার্মাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগের মামলায় সু চির সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
মিয়ানমারের একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করবে দেশটির সামরিক সরকার।
গত সোমবার ১লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনারা দেশটির নির্বাচিত প্রতিনিধি অং সনা সু চিসহ প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ নেতাদের আটক করে। আটকের পরে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনারা। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পলাফল প্রত্যাখান করেছে সেনাবাহিনী।
ওই নির্বাচনে এনএলডি ৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায় সেনা শাসনের নিন্দা জানিয়ে সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির আহবান জানিয়েছেন।
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান
জাগো২৪.নেট,আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

























