প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সে কারণে ডেলটা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুরক্ষিত পানি ব্যবস্থাপনা করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হলে জনগণ নিরাপদ পানি পাওয়ার সুযোগ পাবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে ফুলছড়ি উপজেলার গণকবর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ৪ হাজারেরও বেশী কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। আর ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণের কল্যাণের দিকে না তাকিয়ে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়।
সারাদেশে উদ্বোধন কর্মসূচি হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প ও পুন:খননকৃত ৪৩০টি ছোট নদী, খাল, জলাশয়ের উদ্বোধন এবং নতুন অনুমোদিত ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২৮টি জেলায় ৬৫টি কমিউনিটি আই সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি সোমবার ঢাকা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধার বাগুড়িয়া থেকে ফুলছড়ির গণকবর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গাইবান্ধার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এই প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার বাগুড়িয়া, ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট, রতনপুর, সিংড়িয়া, কাতলামারী ও গণকবর এলাকায় সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণের কাজ করা হয়। এ উপলক্ষে ফুলছড়ির বালাসীঘাট নৌ টার্মিনালে এক সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক, গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, ইবনে মিজান, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, সাংবাদিক আবেদুর রহমান স্বপন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মজিবুর রহমান, রেজাউল করিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিএম সোহেল শালু প্রমুখ।
স্টাফ করেসপন্ডেন্টে, জাগো২৪.নেট 























