বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪০৯ রান।পাঁচ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ক্যারিবীয়রা। এনক্রুমা বোনার ও ডি সিলভার জুটি চড়াও হতে থাকে টাইগারদের ওপর। অবশেষে এনক্রুমা বোনার ব্যক্তিগত ৯০ রানে মিরাজের বলে মিথুনের হাতে ধরা পরেন। এরপর আলজারি জোসেফকে সাথে নিয়ে টাইগারদের ওপর চোখ রাঙায় জশুয়া ডি সিলভা। এরপর ডি সিলভা ব্যক্তিগত ৯২ রানে তাইজুলের বলে আউট হয়ে প্যাভিলয়নের পথ ধরেন। তার আউটের পর আলজারি জোসেফও দলকে বেশিদুর টেনে নিতে পারেনি। ৮২ রানেই রাহীর বলে ফিরে যান তিনি।
এর আগে প্রথম দিন সকালের সেশনে শুধু জন ক্যাম্পবেলের উইকেটই নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ২১তম ওভারে গিয়ে ক্যাম্পবেলকে (৩৬) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় সেশনটা ভালো কেটেছে টাইগারদের। আবু জায়েদ রাহি ও সৌম্য সরকার মিলে তুলে নেন ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ক্যারিবীয়দের প্রতিরোধের পথ দেখায় পঞ্চম উইকেটে বোনার ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের জুটি। তবে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন তাইজুল ইসলাম। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে ২৮ রানে ব্ল্যাকউডকে ফেরান তাইজুল।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ও রাহী উভয়েই নেন ৪টি করে উইকেট। এছাড়া মিরাজ এবং সৌম্য প্রত্যেকেই নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, চট্টগ্রাম টেস্ট হারার পর ঢাকা টেস্টে দলে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। একাদশ থেকে ইনজুরির কারণে বাদ পড়েন সাকিব ও সাদমান। এছাড়াও ঢাকা টেস্টে দলে নেই মুস্তাফিজ। এ তিন জনের পরিবর্তে দলে নতুন মুখ সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ রাহী ও মোহাম্মাদ মিথুন।
এদিকে, সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামে কাইল মায়ার্সের ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রানের পাহাড় টপকে রেকর্ড জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। মায়ার্স তার অভিষেক ম্যাচে খেলেন ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ওই ম্যাচ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জাগো২৪.নেট,স্পোর্টস ডেস্ক 
























