সঞ্জয় সাহা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাহাদুরাবাদ-ফুটানির বাজার স্বল্প সময়ে যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম বালাসীঘাট। এই রুট দিয়ে বর্ষা মৌসুমে লঞ্চ চলাচল করলেও শুকনা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে পানি কমে যাওয়ায় লঞ্চের বদলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা যোগে যাত্রীরা পারাপার করে থাকেন। এতে করে সড়ক পথে দীর্ঘ রাস্তা পারি না দিয়ে অল্প সময়ে মানুষ নৌকা যোগে গাইবান্ধা থেকে দেওয়ানগঞ্জ ও ঢাকা চলাচল করছে। ফলে একদিকে যেমন যাত্রীর সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে বালাসীঘাটে নৌকা চলাচল করায় বেকার ও দরিদ্র মানুষ কাজের সুযোগ পাওয়ায় বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর হতে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লাগাতার হরতাল ও অবরোধের কারনে মানুষ ঠিকভাবে গন্তব্যস্থলে ছুটতে না পারায় ও প্রতি বছর শুকনা মৌসুমে বালাসীর টার্মিনাল সংলগ্ন মেইন ঘাট থেকে নদী দূরে চলে যাওয়ায় এবারও যাত্রীদের কাছে নদী ৩ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার সন্দেহ দেখা দেয়ায় এই রুটে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটি সঠিকভাবে নদী ড্রেজিং না করায় পানি সংকট এর কারনে লঞ্চ চলাচল করতে না করায় ঘর থেকে জমানো টাকা নিয়ে লঞ্চ ও ঘাট ষ্টাফদের বেতন দিতে থাকায় লোকসানে মুখে পড়েছে ঘাট ইজারাদার মালিক কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ঘাট ইজারাদার মালিক ম্যানেজার পাপুল সরকার বলেন- আপনারা কোনো প্রকার বিচলিত হবেন না। এবার আমরা নদীর মুল ঘাট হতে নৌকা চলাচল পরিচালনা করছি। এখন আর পায়ে হেঁটে মাইল এর পর মাইল পাড়ি দিতে হবে না। এখন বালাসীঘাট থেকে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে নিয়মিত সকাল সাড়ে ৯ টায়, সাড়ে ১০ টায়, দুপুর ১২ টায়, দুপুর ১ টায়, ২ টায় ও বিকেল ৪ টায় চলাচল করতেছে। সেই সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার উদ্দেশ্য সকাল সাড়ে ৮ টায়, সাড়ে ১১ টায়, দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট ও বিকেল ৩ টায় নিয়মিত চলাচল করছে।
তিনি আরও বলেন-আমাদের দুটো লঞ্চ কেনা হয়েছে নাব্যতা সংকটের কারনে গত ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালাতে না পাড়ায় লঞ্চ বন্ধ থাকায় ও অনুষ্ঠিত গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দফায় দফায় লাগাতার হরতাল সহ অবরোধের কারনে মানুষ ঠিকভাবে গন্তব্যস্থলে ছুটতে না পারায় ও প্রতি বছর শুকনা মৌসুমে বালাসীর টার্মিনাল সংলগ্ন মেইন ঘাট হতে নদী দূরে চলে যাওয়ায় এবারও যাত্রীদের কাছে নদী দূরে যাওয়ার সন্দেহ দেখা দেয়ায় যাত্রীর উপস্থিতি কমে যাওয়ায় ব্যবসা কমে গেছে। এতে করে বাসা থেকে জমানো টাকা এনে লঞ্চ ও ঘাট স্টাফদের বেতন দেয়ার কারনে এখন লোকসানের মুখে পড়েছি।
নদীর নাব্যতা সংকট ফিরিয়ে আনতে আমরা বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ ও নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ফুলছড়িসহ গাইবান্ধা সদর এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সঞ্জয় সাহা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 
























