পদত্যাগ করলে দেশের যদি কোনো উপকার হয়, তাহলে যেকোনো মুহূর্তেই পদত্যাগ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিকদের কাছে। লিখিত এ বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার বলেন, প্রায় সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমরা তৃপ্তি বোধ করি। কিন্তু নির্বাচন বিষয়ে আমাদের সব দাবি জনগণের উপলব্ধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কেবল রাজনৈজিক দল নয়, নীরব জনগোষ্ঠীর অশ্রুত ভাষা শ্রবণের প্রচেষ্টা থাকাও প্রয়োজন।
ভোট নিয়ে সমালোচনার পর বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে ৪২ নাগরিক। এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমাদের কাছে পদত্যাগ দাবি করেছেন কি না, জানি না। দাবি যদি করে থাকেন, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগ করলে যদি লাভ হয়, দেশের যদি কোনো উপকার হয়, তাহলে আমি যেকোনো মুহূর্তে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, তারা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন। এখন যদি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়, সে বিষয়ে তাদের কিছু বলার নেই। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর পদত্যাগ করে ফেলাটা কোনো বিষয় হয় না বলে তিনি মন্তব্য করেন
তিনি আরো বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমার ধারণা হচ্ছে, নির্বাচন নির্বাসনে যেতে চায়। নির্বাচন অর্থ অনেকের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে বাছাই। কিন্তু সে অবস্থা আজকাল পরিলক্ষিত হয় না। প্রশ্ন জাগে, নির্বাচন কি এখন পূর্বে নির্ধারিত? নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য না হলে, কোনো বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র আপন মহিমায় বিকশিত হতে পারে না।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সহিংসতার শঙ্কা প্রকাশ করেন মাহবুব তালুকদার। তিনি জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হানাহানি বর্তমানে নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। কোনো অনভিপ্রেত ঘটনাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি যাত্রা শুরু করে। ২০২২ সালে তাদের মেয়াদ শেষ হবে।
জাগো২৪.নেট,ডেস্ক 
























