শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা প্রথক দুটি মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নড়াইলের আদালত।বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে, নড়াইল সদরের আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

অপরদিকে, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকায় তার দলের এক আলোচনায় সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবিদের সর্ম্পকে বলেন, ‘তারা নির্বোধের মত মারা গেলো, আমাদের মত নির্বোধরা প্রতিদিন শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে ফুল দেয়, না গেলে আবার পাপ হয়।’

তাদের এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামের শেখ আশিক বিল্লাহ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে শেখ আশিক বিল্লাহ বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর (২০১৫) দুপুরে খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দুটির সমন জারি হয়ে ফেরত আসায় এবং আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশের সময়: ০৮:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা প্রথক দুটি মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নড়াইলের আদালত।বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে, নড়াইল সদরের আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

অপরদিকে, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকায় তার দলের এক আলোচনায় সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবিদের সর্ম্পকে বলেন, ‘তারা নির্বোধের মত মারা গেলো, আমাদের মত নির্বোধরা প্রতিদিন শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে ফুল দেয়, না গেলে আবার পাপ হয়।’

তাদের এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামের শেখ আশিক বিল্লাহ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে শেখ আশিক বিল্লাহ বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর (২০১৫) দুপুরে খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দুটির সমন জারি হয়ে ফেরত আসায় এবং আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।