কুড়িগ্রামে প্রত্যান্ত চরাঞ্চলে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা পরামর্শ ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
নামমাত্র ২০ টাকা ফি নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে সংগঠনটি। এ স্বাস্থ্য সেবা আগামীতে অব্যহত থাকবে বলে জানান সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিনব্যাপী নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ডিগ্রি কলেজে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছেরেছে সংগঠনটি।
মেডিকেল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের, মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. ইমতিয়াজ আহমেদ আসিফ, উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তৌহিদুর রহমান তপু, ফুল এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ রবিউল ইসলামসহ ফুলের স্বেচ্ছাসেবকরা।
সংগঠন সুত্রে জানা গেছে , প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মাঝে আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছে ফুল। চরাঞ্চলের মানুষ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে এখনো পিছিয়ে। রোগ থেকে মুক্তি পেতে এখনো কুসংস্কারের মাঝে পড়ে আছে তারা।অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা, বাল্য বিয়ে ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সেই দিক বিবেচনা করে জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ বিতরণের কার্যক্রম করে আসছে সংগঠনটি।
চিকিৎসা নিতে আসা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ শহরে গিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেটে ডাক্তার দেখার মত সামর্থ নাই। এখানে ২০ টাকা দিয়ে এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিলাম সাথে ওষুধও পেলাম।
আবুল হোসেন নামের এক বলেন, ২০ টাহা দিয়ে শহরের এত বড় ডাক্তারোক বাড়ির বগলত দেখাবার পাইলং স্বপ্নেও ভাবি নাই। ডাক্তার সুন্দর করি মোক দেহিল, সাথে মেলাগুলা ওষুধ দেইল।
ডা. মো. ইমতিয়াজ আহমেদ আসিফ বলেন, ফুল সংগঠনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করায় সংগঠনটিকে ধন্যবাদ জানাই। প্রত্যান্ত চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে চিকিৎসাসেবা দিতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের বলেন,সংগঠনটি হত দরিদ্র জনগোষ্ঠির দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিয়মিতভাবে নামমাত্র মূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প করে আসছি। আজ শনিবার কচাকাটক ডিগ্রি কলেজ তিন ইউনিয়ন ( কচাকাটা, বল্লভের খাষ,কেদার) প্রায় ৫ শতাধিক রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলো। প্রতি রোগী ২০ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মূল্যমানের সুবিধা পেলেন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা হত দরিদ্র রোগীরা।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট