শিশু জেসমিন, জুঁই, লিজা ও আখি মনি। আরও রয়েছে একঝাঁক শিশু। বাবা-মায়ের সঙ্গে সবাই এসেছে গাইবান্ধার বালাশির চরে। সেখানে শরতের শুভ্রতায় ছুঁয়ে গেছে কাশবন। সাদা-কালো মেঘের দিকে উঁকি দিচ্ছে কাশফুল। আর এসব ফুলের সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে ওইসব শিশুরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী জেগে ওঠা বালুর চরে কাশফুল এই অপার সৌন্দর্য মনের খোরাক হয়ে উঠেছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
এখানকার ধুধু বালু চরের শরতের আকাশে মেঘের ভেলা। তারই নিচে উঁকি দিচ্ছে ফুটন্ত কাশফুল। দূর থেকে দেখলে মন টেনে নিয়ে যাবে এই সুন্দরের কাছে।-এমনই আকর্ষণ থেকে শহরের বন্ধী জীবন থেকে মুক্তি পেতে তাইতো শিশু কিশোরসহ সব বয়সীদের কাশফুল দেখার আনন্দে ছুটে আসা।
শিশু শিশু জেসমিন ও লিজা আক্তার জাগো২৪.নেট-কে বলে চরের মুক্ত বাতাসের সাথে কাশফুলের সৌন্দর্যে ভালোই লাগে। এজন্য বন্দুরা মিলে নৌকা ভাড়া করে এখানে এসেছি।
হাসনা বেগম নামের এক গৃহবধূ জানান, শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুটা প্রশান্তির জন্য সন্তানদের নিয়ে এখানে আসা। বেশ ভালো লাগছে এবং শিশুরা প্রকৃতির সাথে পরিচিতিও হচ্ছে।
বালাশি ঘাটের নৌ মালিক ইউনুস আলী জানান, এখানকার চরগুলোতে কাশফুলের টানে লোক সমাগম বেড়েছে। এতে করে নৌকা দিয়ে আয়-উপার্জনও বেড়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএস এর নির্বাহী পরিচালক শাহাদৎ হোসেন মন্ডল জাগো২৪.নেট-কে জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ, বালাসীঘাট নৌবন্ধর ও আশপাশে চর ও কাশফুল প্রকৃতিপ্রেমিদের প্রশান্তির পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের জীবনজীবিকার আয়ও বেড়েছে। শুভ্র ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের সরকারি-বেসরকরি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নদী ও চরাঞ্চল কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট