তোফায়েল হোসেন জাকির: তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম (৩৫)। নিভৃত গ্রামাঞ্চলে বসবাস। এক সময়ে নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থায় ছিল তার। আর এই দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে শুরু করেন হাঁস পালন। উন্মুক্ত জলাশ্বয়ে এই হাঁস পালনে এখন দিনবদল হয়েছে রবিউলের।
সম্প্রতি সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় ছত্রগাছা হাতিছালা বিলে দেখা যায়- রবিউল ইসলামের পালিত সহস্রাধিক হাঁস দলবেঁধে ভাসছে।
জানা যায়, বড় ছত্রগাছা গ্রামের নজমাল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে রবিউল ইসলামের দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে তার। এই সংসার চালাতে অনেক হিমসিম খেতে হচ্ছিল তাকে। এমনি একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকটি হাঁসের খামার অনুসরণ করেন তিনি। প্রথমে ৩ বছর আগে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা থেকে খাকিক্যাম্বেল জাতের ৫০০ পিস হাঁসের বাচ্ছা কিনে বাড়িতে শুরু করে খামার। এ থেকে শুরুতে তিনি লাভের মুখ দেখেন। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মাংস উৎপাদিত হাঁস বিক্রির লাভের টাকা দিয়েই সুখে চলছে তার সংসার।
উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করে চলেছেন। বাচ্চা কিনে তা ৩ মাস পর পর এই হাঁসগুলো বিক্রি করেন। এতে খরচ বাদে ত্রয়মাসিক প্রায় লাখ টাকা লাভ থাকছে তার।
তিনি আরও বলেন, এক সময়ে স্ত্রী-সন্তানের মুখে তেমন অন্ন যোগাতে পারিনি। এখন হাঁসের খামার করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দেশের সিলেট, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ডিম উৎপাদনকারী খামারীরা হাঁসগুলো কিনে নিয়ে যায়।
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যে কোন কাজ পরিকল্পিভাবে করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা রবিউল ইসলামকে লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট