মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খানসামায় পোল্ট্রি খামারে অগ্নিকাণ্ড, সাড়ে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা তিস্তার পানি নিয়ে আসব:  মির্জা ফখরুল পাবনায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন ৮ বছর ধরে পড়ে আছে সেতু! বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা সাদুল্লাপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিস্তারপাড়ের কষ্ট লাঘব করা হবে- বরকত উল্লাহ বুলু সাদুল্লাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জামায়াতের নেতাকর্মী আসামি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, বিষপান স্বামীর সাদুল্লাপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাইবান্ধার সামগ্রিক উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিতকরণ-সমাধান করণীয় শীর্ষক সেমিনার

পঙ্গুত্বের ঝুঁকিতে গুলিবিদ্ধ মাসুদ, পাশে দাঁড়ায়নি কেউ

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

তোফায়েল হোসেন জাকির: নিভৃত অঞ্চলের যুবক মাসুদ মিয়া (৩০)। বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের মুখে হাসি ফুটাতে পাড়ি দিয়েছিলেন গাজীপুরে। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছিলেন। এই উপার্জন থেকে পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা ছিলো তার। এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশটা যখন উত্তাল, তথন এই আন্দোলনে মাসুদও ঝাঁপিয়ে পড়েন। এসময় পুলিশের গুলি ঢোকে তার বাম পায়ে। এ কারণে পঙ্গত্বের ঝুঁকিতে তিনি এখন বাড়িতে শয্যশায়ী। বর্তমানে অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ থাকলেও আজও পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। কান্নাজড়িতে কণ্ঠে এমনটাই জানিয়েছেন গুলিবিদ্ধ এই মাসুদ।

তার বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর (ফকিরপাড়া) গ্রামে। এই গ্রামের সাহেব মিয়া ও মোরশেদা বেগম দম্পতির ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষক পরিবারের মাসুদ মিয়া যখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তখন স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়েকে রেখে পাড়ি দেন গাজীপুরে। সেখানকার চান্দুরা পল্লীবিদ্যুত এলাকার এপেক্স হোল্ডিং লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় কাটিং সেকশনে ওর্য়াকার হিসেবে চাকুরি করছিলেন। এরই মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের রূপ নেয় তখন মাসুদ মিয়াও এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এদিনে গাজীপুরের শফিপুর আনসার একাডেমির সংলগ্ন আন্দোলন চলাকালে মাসুদের বাম পায়ে পুলিশের ছোড়া গুলি ঢোকে। এতে মারাত্নক আহত হন। তাক্ষৎনিক সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় তানহা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যান্ডেজ করা হয়। পরবর্তী মির্জাপুর কুমুদ্দিন মেডিকেলে তার বাম পায়ের গুলি অপসারণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে ৬ আগস্ট মাসুদকে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। এখানে ১১ দিন চিকিৎসাসেবা নেওয়ার পর উন্নত না হলেও গত ১৭ আগস্ট রিলিজ নেওয়া হয়। কারণ টাকার অভাবে চিকিৎসা নেওয়া অসম্ভব হয় তার। বর্তমানে ভাঙা পা নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান বরছেন মাসুদ মিয়া।

এ বিষয়ে গুলিবিদ্ধ এই মাসুদ মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবা নিতে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা খরচ করেছি। গৃহপালিত গরু বিক্রিসহ বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে এসব টাকা ব্যয় করেছি। এখন টাকার অভাবে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা। এ অবস্থায় নিজেকে পঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি মনে করছি।

আহত মাসুদ মিয়ার বাবা সাহেব মিয়া ও মা মোরশেদা বেগম বলেন, স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনাকে পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে আমাদের ছেলেটা পুলিশের গুলি খেয়ে আহত হয়েছে। এখন অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছিনা। শুনেছি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের জন্য অনেক রাজনৈতিক নেতা পাশে দাঁড়িছে। কিন্তু আমাদের পরিবারে পাশে আজও কেউ আসেনি। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা না পেলে হয়তোবা মাসুদকে পঙ্গত্ববরণ করতে হবে।

এ ব্যাপারে সাঘাটার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খন্দাকার বলেন, খরব পেয়ে মাসুদের বাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। এই পরিবারটির সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন