শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রিণ লেডি পেঁপে চাষে সাফল্য

মো. রফিকুল ইসলাম: স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় রাস্তার ধারে ও পুকুর পাড়ে পরিত্যক্ত জমিতে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে গ্রিণ লেডি জাতের পেঁপে। এ জাতের পেঁপে চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের গুলজার রহমানের ছেলে কৃষক আলতাফ হোসেন। তিনি এ পেঁপে চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। পেঁপে বিক্রি করে অর্জিত অর্থে ভাগ্য বদল হয়েছে তাঁর। ব্যতিক্রম এ উদ্যোগ দেখে অনেকেই পেঁপে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সরজমিন দেখা গেছে, উপজেলার জমিদারনগর থেকে বলরাম বাজার যাওয়ার সড়কের অর্ধ কিলোমিটার. এলাকা জুড়ে রাস্তার একধারে, পুকুর পাড়ে ও পরিত্যক্ত জমিতে সারি সারি পেঁপে গাছ। ওই এলাকায় গেলে যে কারো চোখে পড়বে পেঁপে গাছের এ দৃশ্য। কৃষক আলতাফ হোসেন গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে তার নিজ খামারের তৈরি জৈবসার ব্যবহার করছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।আলাপচারিতায় আলতাফ হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই কৃষিতে আগ্রহ থাকায় তিনি চাষাবাদে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ইউটিউব ও কৃষি অফিসারের পরামর্শে পরিত্যক্ত জমিতে স্বল্প পুঁজিতে পেঁপে চাষ শুরু করেন।

বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মাসে ৩ বার ১০-১৫ মণ করে পেঁপে বিক্রি করেন।তিনি গত মৌসুমে প্রায় ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। তিনি আরও বলেন, সকলেই পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করলে সব্জির চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারবেন। তিনি আগামীতে আরও ব্যাপক পরিসরে পরিত্যক্ত জমিতে পেঁপে চাষ করবেন।

ব্যতিক্রম এ কাজের প্রশংসা করে খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, আলতাফ হোসেন একজন ভালো মানের কৃষক। পরিত্যক্ত জমি ব্যবহার করে পেঁপে চাষ করে তিনি বেশ সাফল্য পেয়েছেন। তাঁর এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যা আমাদের সকল কৃষকের জন্য অনুকরণীয় ও ইতিবাচক।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কৃষক আলতাফ হোসেন গত বছরের শুরুতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে গ্রিণ লেডি জাতের পেঁপের চারা লাগিয়েছেন। এতে ভালো ফলন ও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কৃষি বিভাগ নিয়মিত কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে যেন কোনো জমি অনাবাদি না থাকে।

 

গ্রিণ লেডি পেঁপে চাষে সাফল্য

প্রকাশের সময়: ০১:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মো. রফিকুল ইসলাম: স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় রাস্তার ধারে ও পুকুর পাড়ে পরিত্যক্ত জমিতে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে গ্রিণ লেডি জাতের পেঁপে। এ জাতের পেঁপে চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের গুলজার রহমানের ছেলে কৃষক আলতাফ হোসেন। তিনি এ পেঁপে চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। পেঁপে বিক্রি করে অর্জিত অর্থে ভাগ্য বদল হয়েছে তাঁর। ব্যতিক্রম এ উদ্যোগ দেখে অনেকেই পেঁপে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সরজমিন দেখা গেছে, উপজেলার জমিদারনগর থেকে বলরাম বাজার যাওয়ার সড়কের অর্ধ কিলোমিটার. এলাকা জুড়ে রাস্তার একধারে, পুকুর পাড়ে ও পরিত্যক্ত জমিতে সারি সারি পেঁপে গাছ। ওই এলাকায় গেলে যে কারো চোখে পড়বে পেঁপে গাছের এ দৃশ্য। কৃষক আলতাফ হোসেন গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে তার নিজ খামারের তৈরি জৈবসার ব্যবহার করছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।আলাপচারিতায় আলতাফ হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই কৃষিতে আগ্রহ থাকায় তিনি চাষাবাদে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ইউটিউব ও কৃষি অফিসারের পরামর্শে পরিত্যক্ত জমিতে স্বল্প পুঁজিতে পেঁপে চাষ শুরু করেন।

বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মাসে ৩ বার ১০-১৫ মণ করে পেঁপে বিক্রি করেন।তিনি গত মৌসুমে প্রায় ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। তিনি আরও বলেন, সকলেই পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করলে সব্জির চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারবেন। তিনি আগামীতে আরও ব্যাপক পরিসরে পরিত্যক্ত জমিতে পেঁপে চাষ করবেন।

ব্যতিক্রম এ কাজের প্রশংসা করে খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, আলতাফ হোসেন একজন ভালো মানের কৃষক। পরিত্যক্ত জমি ব্যবহার করে পেঁপে চাষ করে তিনি বেশ সাফল্য পেয়েছেন। তাঁর এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যা আমাদের সকল কৃষকের জন্য অনুকরণীয় ও ইতিবাচক।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কৃষক আলতাফ হোসেন গত বছরের শুরুতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে গ্রিণ লেডি জাতের পেঁপের চারা লাগিয়েছেন। এতে ভালো ফলন ও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কৃষি বিভাগ নিয়মিত কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে যেন কোনো জমি অনাবাদি না থাকে।