বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খানসামায় পোল্ট্রি খামারে অগ্নিকাণ্ড, সাড়ে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা তিস্তার পানি নিয়ে আসব:  মির্জা ফখরুল পাবনায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন ৮ বছর ধরে পড়ে আছে সেতু! বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা সাদুল্লাপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিস্তারপাড়ের কষ্ট লাঘব করা হবে- বরকত উল্লাহ বুলু সাদুল্লাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জামায়াতের নেতাকর্মী আসামি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, বিষপান স্বামীর সাদুল্লাপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাইবান্ধার সামগ্রিক উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিতকরণ-সমাধান করণীয় শীর্ষক সেমিনার

অনলাইন জুয়ায় ফতুর হচ্ছে মানুষ

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে স্মার্ট মোবাইল ফোন অ্যাপসের মাধ্যমে বেড়েই চলছে জুয়া খেলার প্রবণতা। এ খেলার নেশায় যুব সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফতুর হচ্ছেন। এর ফলে এ কারণে পারিবারিক অশান্তিসহ বাড়ছে অপরাধমূল কর্মকাণ্ড।

সম্প্রতি খোঁজ জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলাজুড়ে ধীরে ধীরে অনলাইন জুয়া বিস্তার লাভ করছে। সহজে প্রচুর অর্থ উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ এই জুয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এই খেলা শুরুর পর এখন নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

ওই জুয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্মার্টফোনে নির্ধারিত কয়েকটি অ্যাপস ডাউনলোড করে সেখানে জুয়া খেলা চলে। বিভিন্ন নামের প্রায় ১০ থেকে ১২ টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশি জুয়া খেলা হয়। এসব অ্যাপসে ১০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোনো অংকের টাকা দিয়ে শুরু করা যায়।

এ খেলায় আসক্তরা বলছেন- এসব অ্যা পস পরিচালনা করেছেন কয়েকটি দেশ। জেলার প্রায় প্রতিটি বাজারেই রয়েছে তাদের এজেন্ট। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টরা বিদেশি অ্যাপস পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে হাজারে কমপক্ষে ৪০ টাকা কমিশন পায়। এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাঁচার হয়।

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত আরও একাধিক ব্যক্তি বলছেন, এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না। জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের বেশির ভাগেরই রয়েছে স্মার্ট ফোন। যাদের নেই, তারা ভাড়া নিয়ে চালান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম অংশগ্রহণকারীদের জুয়ায় জিতিয়ে লোভে ফেলা হয়। এরপর নেশা ধরে গেলে টাকা খোয়ানোর ঘটনা ঘটতে থাকে। তখন আর বের হওয়ার পথ থাকে না।

জমিলা বেগম নামের এক গূহবধূ জানান, তার স্বামী অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি পযর্ন্ত বিক্রি করেছেন। কিছু বললেই সে মারধর করে।

খলিলুল্যাহ আকন্দ নামের অভিভাবক বলেন, তার ছেলে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। কিন্তু অনলাইন জুয়ার কারণে পড়ালেখায় মনোযোগ নেই। কৌশলে টাকা নিয়ে এটা খেলে। কোনোভাবেই বিরত রাখা যাচ্ছে না।

গাইবান্ধা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়- অনলাইনে জুয়া বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত অকেকেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে সচেতনতা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন