দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীতাঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মেহরীন মাহমুদ। তার সময়সাময়ীক অনেকেই ক্যারিয়ারের লম্বা রেসের দৌড়ে থমকে গেছেন। সেই জায়গায় একেবারেই ভিন্ন মেহরীন। সুনাম ও সম্মানের সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
২০০৬ সাল থেকেই মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত হন মেহরীন। ওই বছর নিজেই মরণোত্তর চক্ষুদানের চুক্তি স্বাক্ষর করেন সন্ধানীর সঙ্গে। এরপর থেকে দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এবার মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন মেহরীন।
‘অন্যের চোখে বাঁচি’ (মরণোত্তর চক্ষুদান) নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এই আহ্বান জানান তিনি। ওই গ্রুপে মেহরীনের ছবি সম্বলিত একটি পোস্টারও প্রকাশ করা হয়েছে।
পোস্টে লেখা হয়েছে, মৃত্যুর পর আমাদের চোখ দুটো নষ্ট না করে দুইজন অন্ধ মানুষকে দিয়ে যাই আসুন। অন্ধ মানুষটি তার প্রিয় মাকে দেখুক আমাদের চোখে। মৃত্যুর পরেও মানুষের উপকার করার সবচেয়ে সহজতম উপায় হলো মরণোত্তর চক্ষুদান। আপনার মা-বাবা-ভাই-বোন-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান (১৮ বছরের ওপর) যে কোনো একজন অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে ঘরে বসে মরণোত্তর চক্ষুদানের রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন-www.EyeDonationBD.com। যুক্ত হয়ে নিন চক্ষুদানের ফেসবুক গ্রুপে https://www.facebook.com/groups/chokkhudaan
শুধু গানেই নয়, ফ্যাশন সচেতন শিল্পী হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে মেহরীনের। ছিমছাম ওয়েস্টার্ন পোশাক আর নিজস্ব স্টাইলে গান গেয়ে নজর কেড়েছেন অনেকের। ১৯৯৪ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং সঙ্গীতে তার প্রথম এ্যালবাম আনারি ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য এ্যালবামের মধ্যে রয়েছে- দেখা হবে, মনে পড়ে তোমায়, ভালবাসার গান – একটি রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা, ডন্ট ফরগেট মি, তুমি আসবে বলে।
জাগো২৪.নেট, বিনোদন ডেস্ক 

























