বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাওরে পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র দেয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরের ধান কাটার জন্য শ্রমিকের কোনো সংকট নেই। একই সঙ্গে হাওরে এ বছর কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান-চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীরা করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কৃষকের পাশে থেকেছেন। নতুন উন্নত জাতের ধান চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর এক লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সঙ্গে গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধান ৯-১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
জনপ্রিয়

হাওরে পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র দেয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময়: ০৬:৩৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরের ধান কাটার জন্য শ্রমিকের কোনো সংকট নেই। একই সঙ্গে হাওরে এ বছর কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান-চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীরা করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কৃষকের পাশে থেকেছেন। নতুন উন্নত জাতের ধান চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর এক লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সঙ্গে গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধান ৯-১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।