বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিসরা মানবেতর জীবনে

Digital Camera

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায় ৭ মাস ধরে নেই বালাম বই। সেই সঙ্গে টানা লকডাউনের কবলে বন্ধ রয়েছে অফিসটি। যার ফলে এ অফিসের নকল নবিসরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।

জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অস্থায়ীভাবে ৩২ জন এক্সট্রা মোহরার বা নকল নবিস কাজ করছেন। কাজ আছে মজুরি আছে ভিত্তিতে যুগযুগ ধরে কাজ করছেন তারা।প্রতি পৃষ্ঠা দলিলের নকল বালাম থেকে ভলিয়ম লেখে মাত্র ২৪ টাকা পান । সব মিলিয়ে মাসে গড়ে যা লেখেন সেটাই তাদের বেতন-ভাতা। এভাবে কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। কিন্তু সেখানেও ঘটে বিপত্তি। ওই অফিসটিতে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস ধরে নেই বালাম বই। মজুরি ভিত্তিতে দলিলের নকল করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা।একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরাও। বালাম বইয়ে দলিল লেখা সম্পাদন না হওয়া তারা হাতে পাচ্ছে না সূল দলিলটি। এনিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা।

এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সাদুল্লাপুরে চলমান রয়েছে লকডাউন।এতে বন্ধ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নকল নবিসরা অর্থ সংকটে পড়েছেন। এখন তাদের কাটছে দুর্বিসহ জীবন-যাপন। এছাড়া চাকুরি স্থায়ীকরণে দীর্ঘদিনের দাবি টুকুও তামাদি হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, করোনার কারণে টানা লকডাউনে নকল নবিসদের খোঁজ রাখেনি  সংশ্লিষ্টরা। যাদের পরিশ্রমের টাকায় বছরে রাজস্ব খাতে কোটি টাকা জমা হচ্ছে। তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন কেউই।

বাংলাদেশ এক্সট্রা (মোহরার) নকল নবিস অ্যাসোসিয়েশনের সাদুল্লাপুর উপজেলা সভাপতি সবুজ মিয়া জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এই অফিসটিতে টানা ৭ মাস যাবৎ বালাম বই সরবরাহ নেই। যার কারণের ভলিয়ম করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও গ্রাকদের চাহিদা অনুযায়ী জাবেদা সম্পাদন ও তল্লাসি কাজ করে কিছুটা রোজগার করা হয়েছিলো। বর্মমানে লকডাউনের কারণে অফিসটি বন্ধ থাকায় সেটিও থেকে বঞ্চিত আমরা।

বাংলাদেশ এক্সট্রা (মোহরার) নকল নবিস অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ রাহেনুল ইসলাম রবার্ট জাগো২৪.নেট-কে জানান, নকল নবিসদের চাকরি স্থায়ীকরণ ঘোষণা থাকলেও কিন্তু এটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে নকল নবিসরা চরম হতাশায় ভুগছে। আর করোনাকালে তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। সেটি ও পাশাপাশি সরকার যেন নকল নবিসদের চাকরি দ্রুত স্থায়ীকরণ করে সে দাবিও জানান তিনি।

বালাম বই না থাকার বিষয়ে সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রার কামরুজ্জামান জাগো২৪.নেট-কে জানান, বালাম বই চেয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে। সরবরাহ পেলে নকল নবিসরা নিয়মিত কাজ করতে পারবেন।

 

জনপ্রিয়

সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিসরা মানবেতর জীবনে

প্রকাশের সময়: ০৫:০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায় ৭ মাস ধরে নেই বালাম বই। সেই সঙ্গে টানা লকডাউনের কবলে বন্ধ রয়েছে অফিসটি। যার ফলে এ অফিসের নকল নবিসরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।

জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অস্থায়ীভাবে ৩২ জন এক্সট্রা মোহরার বা নকল নবিস কাজ করছেন। কাজ আছে মজুরি আছে ভিত্তিতে যুগযুগ ধরে কাজ করছেন তারা।প্রতি পৃষ্ঠা দলিলের নকল বালাম থেকে ভলিয়ম লেখে মাত্র ২৪ টাকা পান । সব মিলিয়ে মাসে গড়ে যা লেখেন সেটাই তাদের বেতন-ভাতা। এভাবে কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। কিন্তু সেখানেও ঘটে বিপত্তি। ওই অফিসটিতে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস ধরে নেই বালাম বই। মজুরি ভিত্তিতে দলিলের নকল করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা।একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরাও। বালাম বইয়ে দলিল লেখা সম্পাদন না হওয়া তারা হাতে পাচ্ছে না সূল দলিলটি। এনিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা।

এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সাদুল্লাপুরে চলমান রয়েছে লকডাউন।এতে বন্ধ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নকল নবিসরা অর্থ সংকটে পড়েছেন। এখন তাদের কাটছে দুর্বিসহ জীবন-যাপন। এছাড়া চাকুরি স্থায়ীকরণে দীর্ঘদিনের দাবি টুকুও তামাদি হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, করোনার কারণে টানা লকডাউনে নকল নবিসদের খোঁজ রাখেনি  সংশ্লিষ্টরা। যাদের পরিশ্রমের টাকায় বছরে রাজস্ব খাতে কোটি টাকা জমা হচ্ছে। তাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন কেউই।

বাংলাদেশ এক্সট্রা (মোহরার) নকল নবিস অ্যাসোসিয়েশনের সাদুল্লাপুর উপজেলা সভাপতি সবুজ মিয়া জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এই অফিসটিতে টানা ৭ মাস যাবৎ বালাম বই সরবরাহ নেই। যার কারণের ভলিয়ম করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও গ্রাকদের চাহিদা অনুযায়ী জাবেদা সম্পাদন ও তল্লাসি কাজ করে কিছুটা রোজগার করা হয়েছিলো। বর্মমানে লকডাউনের কারণে অফিসটি বন্ধ থাকায় সেটিও থেকে বঞ্চিত আমরা।

বাংলাদেশ এক্সট্রা (মোহরার) নকল নবিস অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ রাহেনুল ইসলাম রবার্ট জাগো২৪.নেট-কে জানান, নকল নবিসদের চাকরি স্থায়ীকরণ ঘোষণা থাকলেও কিন্তু এটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে নকল নবিসরা চরম হতাশায় ভুগছে। আর করোনাকালে তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। সেটি ও পাশাপাশি সরকার যেন নকল নবিসদের চাকরি দ্রুত স্থায়ীকরণ করে সে দাবিও জানান তিনি।

বালাম বই না থাকার বিষয়ে সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রার কামরুজ্জামান জাগো২৪.নেট-কে জানান, বালাম বই চেয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে। সরবরাহ পেলে নকল নবিসরা নিয়মিত কাজ করতে পারবেন।