গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজাউদ্দৌলা নজরুল ইসলাম দীর্ঘ চার মাস ধরে দূরোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগলেও আজ পর্যন্ত কেউ পাশে দাঁড়ায়নি।
নজরুল উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে। তিনি জন্মগত ভাবে একজন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিগত ২০১৪ সালের ৯ মে তারিখে মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কিন্তু ৪ মাস ধরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন । বর্তমানে তিনি কলকাতা থেকে দেশে ফিরে এসে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাকে প্রতিনিয়ত রক্ত দিতে হয়। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার করতে গিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন। এমতাবস্থায় পরিবারটির পক্ষে তাকে একক ভাবে দেশের বাইরে নেয়া সম্ভব নয়। যে মানুষটির সুবাদে সুন্দরগঞ্জ ছাত্রলীগের বীজ বপন হয়েছে। আজ সেই মানুষটির দুঃসময়ে আওয়মীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত দাঁড়ায়নি।
এ ব্যাপারে আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলামের বড় ভাই, তারাপুর ইউনিয়নের বর্তমান আ’লীগ সভাপতি শামসুল হক বলেন, পরিবার শুদ্ধ আওয়ামীলীগ করি। ছোট ভাই নজরুলকে সাথে নিয়ে ছাত্র জীবন থেকে মিছিল-মিটিং সভা-সমাবেশসহ সকল ধরনের দলীয় কাজ করে আসছি। তাই নজরুলকে সুস্থ্য করতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তার মেয়ে শরীফা নকশি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠা সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত কোন নেতা কর্মী খোঁজ-খবর নেননি।
তার ছেলে পৌর বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি শরিফুজ্জামান সাগর বলেন, আমার বাবা উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন বর্ষীয়ান নেতা । দলের ক্রান্তি লগ্নে তিনি সাহসিকতার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ কারণে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন।
অসুস্থ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় তারপরও আমি ক্যান্সারে লড়ছি কিন্তু দুঃখজনক হলেও আজ পর্যন্ত কোন নেতাকর্মী দেখতে আসেনি। নজরুলের পরিবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন তাকে সরকারি ভাবে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।