বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বার বার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও আটকে রাখার অভিযোগে হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় এ মামলা করেন তিনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই জোরপূর্বক পরিচিতদের বাসায় ঝর্ণাকে আটকে রাখে মামুনুল। এ সময় তাকে তার বাবা-মার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি ঝর্ণার প্রথম স্বামী শহীদুলের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ডও ছিলেন মামুনুল।
এদিকে মামলার পরেই ঝর্ণাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। ওই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় হেফাজতের কর্মী ও সমর্থকরা।
প্রথমে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। এরপরেই প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় তার। যেখানে মামুনুল বলেন, জনরোষ থেকে বাঁচতেই জান্নাত আরা ঝর্নাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। আসলে ওই ঝর্না হাফেজ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
১৮ এপ্রিল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মামুনুল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রিসোর্টকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান তিনি। দুই নারীর সঙ্গে তিনটি শর্ত সাপেক্ষে চুক্তি ভিত্তিক সম্পর্ক করেন বলে জানান মামুনুল। এরপর জান্নাত আরা ঝর্নাকে মামুনুলের বোনের মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়।
জাগো২৪.নেট ডেস্ক 























