শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী : ঈদ আছে, উৎসব নেই

ঈদ আনন্দের আঁচ নেই রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। সংক্রমণের হার কমলেও মহামারি দূর না হওয়ায় বসে থাকার ফুরসত নেই কারোরই। তাইতো নতুন পোশাক নয়, মাস্ক, পিপিই পরে করোনাযুদ্ধে চিকিৎসক-নার্স। এদিকে, ঈদের দিনেও কোভিড টেস্টের বুথে ভিড় করেছেন অনেকে। এ ছাড়া সংক্রমণের লাগাম টানতে ঈদে ফিরতি যাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ঢাকা মেডিকেলের ভেতরে এক মা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছে তার অনাগত সন্তানকে গর্ভে নিয়ে। বাইরে আরেক মায়ের আর্তনাদ। মেয়ের চিকিৎসার বিষয়ে মা বলেন, আল্লাহর কাছে এটাই চাই। আমার মেয়েকে সুস্থ করে দিন।
করোনা গ্রাস করেছে দুনিয়া। তাইতো ঈদটাও অন্যরকম। হাসপাতালে ঈদের ছিটেফোঁটাও আসেনি। হাসপাতালের বিছানায় একেকজন লড়ছে অদৃশ্য এই ভাইরাসের সঙ্গে আর বাইরে প্রতিটি ক্ষণ শঙ্কার।
ঈদের দিনে সবাই যখন তৈরি হচ্ছে নতুন কাপড় নিয়ে ঠিক তখনই আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা মাস্ক আর পিপিই পরে তৈরি হচ্ছে যুদ্ধে নামতে। এবারের ঈদটা না হয় তোলাই থাকল। পৃথিবী স্বাভাবিক হলে এই আনন্দটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।
চিকিৎসক তানভীর শুভ জানান, রোগীকে ভালো করতে পারটাই আমাদের আনন্দ। সে সময় অনেক স্বস্তি পাই। রোগীকে সুস্থ করে তোলা ঈদের আনন্দের চাইতেও বড় আনন্দ।
ঈদের সকালে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স আর স্টাফদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উত্তরের মেয়র। পরে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের আগে আমরা কঠোর হয়নি। সরকার যখন লকডাউন দেবে তখন আমরা কঠোর হব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ঈদের ফিরতি যাত্রায় নিয়ন্ত্রণ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আমরা সুপারিশ করেছি যারা গ্রামে গেছে, তাদের ফেরাটা কিছুটা বিলম্ব করতে। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ধীরে ধীরে ফেরানোর ব্যবস্থা নেয়া হোক বলেও আমরা সুপারিশ করেছি।
জনপ্রিয়

চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী : ঈদ আছে, উৎসব নেই

প্রকাশের সময়: ০৭:৫০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১
ঈদ আনন্দের আঁচ নেই রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। সংক্রমণের হার কমলেও মহামারি দূর না হওয়ায় বসে থাকার ফুরসত নেই কারোরই। তাইতো নতুন পোশাক নয়, মাস্ক, পিপিই পরে করোনাযুদ্ধে চিকিৎসক-নার্স। এদিকে, ঈদের দিনেও কোভিড টেস্টের বুথে ভিড় করেছেন অনেকে। এ ছাড়া সংক্রমণের লাগাম টানতে ঈদে ফিরতি যাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ঢাকা মেডিকেলের ভেতরে এক মা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছে তার অনাগত সন্তানকে গর্ভে নিয়ে। বাইরে আরেক মায়ের আর্তনাদ। মেয়ের চিকিৎসার বিষয়ে মা বলেন, আল্লাহর কাছে এটাই চাই। আমার মেয়েকে সুস্থ করে দিন।
করোনা গ্রাস করেছে দুনিয়া। তাইতো ঈদটাও অন্যরকম। হাসপাতালে ঈদের ছিটেফোঁটাও আসেনি। হাসপাতালের বিছানায় একেকজন লড়ছে অদৃশ্য এই ভাইরাসের সঙ্গে আর বাইরে প্রতিটি ক্ষণ শঙ্কার।
ঈদের দিনে সবাই যখন তৈরি হচ্ছে নতুন কাপড় নিয়ে ঠিক তখনই আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা মাস্ক আর পিপিই পরে তৈরি হচ্ছে যুদ্ধে নামতে। এবারের ঈদটা না হয় তোলাই থাকল। পৃথিবী স্বাভাবিক হলে এই আনন্দটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।
চিকিৎসক তানভীর শুভ জানান, রোগীকে ভালো করতে পারটাই আমাদের আনন্দ। সে সময় অনেক স্বস্তি পাই। রোগীকে সুস্থ করে তোলা ঈদের আনন্দের চাইতেও বড় আনন্দ।
ঈদের সকালে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স আর স্টাফদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উত্তরের মেয়র। পরে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের আগে আমরা কঠোর হয়নি। সরকার যখন লকডাউন দেবে তখন আমরা কঠোর হব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ঈদের ফিরতি যাত্রায় নিয়ন্ত্রণ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আমরা সুপারিশ করেছি যারা গ্রামে গেছে, তাদের ফেরাটা কিছুটা বিলম্ব করতে। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ধীরে ধীরে ফেরানোর ব্যবস্থা নেয়া হোক বলেও আমরা সুপারিশ করেছি।