ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক তরুণী (২৪)। তিনি একজন পোশাক শ্রমিক। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ বাড়ি ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার (০৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া এলাকায় আলতাফ হোসেনের বাড়িতে তাকে অনশন করতে দেখা যায়। এর আগে সকালের দিকে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
প্রেমিক সুমন হোসেন ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে।
অনশনরত পোশাক শ্রমিক তরুণী জানান, ২০১৪ সালের দিকে সুমন আমাকে মুঠোফোনে জ্বালাতন শুরু করে। আমাকে পছন্দ করে, ভালোবাসে এসব জানায়। তবে তখন আমি তাকে আমার মামাকে দিয়ে যোগাযোগ করতে নিষেধ করি। তবুও সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে আমিও তাকে পছন্দ করে ফেলি। ২০১৬ সাল থেকে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। এতদিন পর্যন্ত সেভাবেই চলছিল। সে বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়িতে আসে।
আমার সঙ্গে থাকার সময় বাড়ির মানুষ টের পেয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়। পরে তার পরিবারের লোকজনকে ডাকা হলে তারা সুমনকে সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকেই সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছিল না। এদিকে আমার বাড়ি থেকেও আমাকে বকাঝকা করা হলে আমি এই বাড়িতে চলে আসি।
তরুণী আরও বলেন, সুমন (প্রেমিক) যদি এখন আমাকে বিয়ে না করে, তবুও এই বাড়িতেই আমি থাকব। এলাকার লোকজন বসবে বলে জানিয়েছে। তারা যদি সঠিক বিচার না করে, তাহলে আমি অন্য ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আব্দুল লতিফ বলেন, রাতে আমার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরে মেয়েটি বাড়ি উঠে আসে। এটা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং ছেলে মেয়ে দুই পক্ষকে সমাধানের কথা বলেছি।
তবে অনশনের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কাদের মোল্লা। তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। তবে এগুলো আইনের ব্যাপার।
এ ব্যাপারে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাসেল মোল্লা বলেন, আমি দুই পক্ষকে সমাধানের কথা বলেছি। কিন্ত তারা সেটা করতে পারে নাই। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্দুল্লাহ আল নাঈম, করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, ঢাকা 























