সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনের বেলায় ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন, লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন

দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা, হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবহন। দুইদিন থেকে সূর্য দেখা মেলেনি এলাকাবাসীর। ঘন কুয়াশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী হিলি শহর ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুর থেকে হিলি, ঘোড়াঘাট থেকে হিলি আর জয়পুরহাট থেকে হিলি রুটে যানবহনগুলো হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে গাড়িগুলো যাতাযাত করছে। ঘন কুয়াশায় জুবুথুবু হয়ে ভ্যান, রিকশা ও অটোগাড়ির চালকরা চলাফেরা করছেন। গতকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি হিলিবাসী। কাজের সন্ধানে কুয়াশের অন্ধকারেও বসে আছে দিনমজুরের হিলির চারমাথায়। দিনব্যাপী দেখা গেছে প্রতিটি যানবহন লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করছে।

ঢাকা থেকে আসা নৈশ হানিফ কোচ চালক আরিফুল ইসলাম জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এতো কুয়াশা, রাস্তায় গাড়ি চলা বড় কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। জয়পুরহাট থেকে হিলিতে গাড়ি নিয়ে আসতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, আর সেখানে আজ সময় লেগেছে দেড় ঘন্টা।

হিলি স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া পাথর বোঝায় ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি, কিন্তু যে কুয়াশার অবস্থা, কখন যে পৌছাতে পারবো। কুয়াশায় তো গাড়ি জোরে চালানো যায় না এবং সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কও তো আছে।

কথা হয় ভ্যান চালক রফিকুলের সাথে কথা হলে তিনি জাগো২৪.নেট-কে বলেন, ভোরে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কুয়াশায় রাস্তায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। বসে আছি অনেকক্ষণ কিন্তু কোন যাত্রী পাচ্ছি না। যদি ভারা না মারতে পারি তাহলে সংসার চালাবো কি করে।

শীতের মোটা মোটা কাপড় পড়ে কাঁধে ডালির বাঁহুক ঝুলিয়ে হেটে চলছে ৬০ বছরের তমিজ উদ্দিন, জানতে চাইলে জাগো২৪.নেট-কে বলেন, কাজের খোঁজে বের হয়েছি বাবা। কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে। ছেলেরা তো বিয়াশাদী করে যার যার মতো চলছে। মানুষের বাড়িতে কামলা দিয়ে যা পাই তাই দিয়ে বুড়াবুড়ি চলি। শীত আর কুয়াশাকে ভয় করলে কাজ পাওয়া যাবে না।

জনপ্রিয়

দিনের বেলায় ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন, লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন

প্রকাশের সময়: ০৭:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা, হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবহন। দুইদিন থেকে সূর্য দেখা মেলেনি এলাকাবাসীর। ঘন কুয়াশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী হিলি শহর ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুর থেকে হিলি, ঘোড়াঘাট থেকে হিলি আর জয়পুরহাট থেকে হিলি রুটে যানবহনগুলো হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে গাড়িগুলো যাতাযাত করছে। ঘন কুয়াশায় জুবুথুবু হয়ে ভ্যান, রিকশা ও অটোগাড়ির চালকরা চলাফেরা করছেন। গতকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি হিলিবাসী। কাজের সন্ধানে কুয়াশের অন্ধকারেও বসে আছে দিনমজুরের হিলির চারমাথায়। দিনব্যাপী দেখা গেছে প্রতিটি যানবহন লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করছে।

ঢাকা থেকে আসা নৈশ হানিফ কোচ চালক আরিফুল ইসলাম জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এতো কুয়াশা, রাস্তায় গাড়ি চলা বড় কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। জয়পুরহাট থেকে হিলিতে গাড়ি নিয়ে আসতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, আর সেখানে আজ সময় লেগেছে দেড় ঘন্টা।

হিলি স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া পাথর বোঝায় ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি, কিন্তু যে কুয়াশার অবস্থা, কখন যে পৌছাতে পারবো। কুয়াশায় তো গাড়ি জোরে চালানো যায় না এবং সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কও তো আছে।

কথা হয় ভ্যান চালক রফিকুলের সাথে কথা হলে তিনি জাগো২৪.নেট-কে বলেন, ভোরে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কুয়াশায় রাস্তায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। বসে আছি অনেকক্ষণ কিন্তু কোন যাত্রী পাচ্ছি না। যদি ভারা না মারতে পারি তাহলে সংসার চালাবো কি করে।

শীতের মোটা মোটা কাপড় পড়ে কাঁধে ডালির বাঁহুক ঝুলিয়ে হেটে চলছে ৬০ বছরের তমিজ উদ্দিন, জানতে চাইলে জাগো২৪.নেট-কে বলেন, কাজের খোঁজে বের হয়েছি বাবা। কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে। ছেলেরা তো বিয়াশাদী করে যার যার মতো চলছে। মানুষের বাড়িতে কামলা দিয়ে যা পাই তাই দিয়ে বুড়াবুড়ি চলি। শীত আর কুয়াশাকে ভয় করলে কাজ পাওয়া যাবে না।