দ্বিতীয় দিনের মতো আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢুকতে গিয়ে দোয়েল চত্বর এলাকায় বাধার মুখে পড়ে। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। তবে গত মঙ্গলবারের মতো দীর্ঘসময় ধরে সংঘর্ষ হয়নি কারণ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট এলাকায় ঢুকে যায়।
পরে কয়েকজনকে সামনে পেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে ৫ জন ছাত্রদল কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ক্যাম্পাস লাইভের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আবীর আহমেদও রয়েছেন। হাইকোর্ট মসজিদের সামনে তার উপর হামলা করে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্টের মাজার গেট হয়ে দিয়ে মিছিল নিয়ে ছাত্রদল কয়েকশ নেতাকর্মী দোয়েল চত্বরের দিকে এগুতে থাকে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই দোয়েল চত্বরসহ আশপাশের সব এলাকায় মহড়া দিচ্ছিলো। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বরের দিকে যাত্রা শুরু করলেই শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা।
এভাবে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো চলে। এসময় দুই পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন আহত হয়।
এদিকে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেওয়া ঢাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা নেতৃত্বে ছিলেন।
আগে থেকে লাঠিসোটা, রড় হাতে মহড়া দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতিহত করতেও আশপাশ থেকে লাঠি, ইট তুলে মারতে থাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীদেরও ক্যাম্পাসের আশপাশে দেখা গেছে।
এদিকে ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল হাইকোর্টের ভেতরে চলে গেলেও এই এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হাইকোর্টের ফটকের সামনে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের জসীম উদ্দিন হলের সভাপতি ওয়ালি উল্লাহ সুমন ঢাকা মেইলকে বলেন, মঙ্গলবারের মতো আজও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে চেয়েছিল। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার সে ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দিয়েছি।
এর আগে, গত মঙ্গলবারের হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্রদল। শুক্রবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিসিএস পরীক্ষার জন্য তা স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা দুই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। সুত্রঃ ঢাকামেইল

নিউজ ডেস্ক, জাগো২৪.নেট 























