সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফলোআপ: সেই আমেনাকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস

“ঝরি-বাতাস আসলে দৌড় দ্যাম মানসের বাড়িত” ও “কেউ কথা রাখেনি গৃহহীন আমেনার”। এসব শিরোনামে দুটি সংবাদ জাগো২৪.নেটসহ বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এ সংবাদটি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসলে অবশেষে গৃহহীন আমেনাকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিলেন ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) আমেনার জন্য ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে বলে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

উল্লেখ্য: সত্তোরোর্ধ বয়সের আমেনা বেওয়া। স্বামী সৈয়দ আলী বয়সের ভারে ন্যুব্জে পড়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবনে একমাত্র সন্তান রাজ্জাক মিয়া। সেও মানসিক প্রতিবন্ধী। বসবাসের জন্য পলিথিন আর খড়ের বেড়া দিয়ে তুলেছে একটি ছাপড়া ঘর। জরাজীর্ণ এ ঘরে স্বামী-সন্তানের বসবাস। আকাশের মেঘ দেখলে আতঙ্ক বিরাজ করে তাদের মনে। একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই দৌড় দিতে হয় অন্যের বাড়িতে। এছাড়া রান্না ঘর, টিউবয়েল-টয়লেটেও নেই তাদের। নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও। যেনো অন্ধকার ভুতড়ে বসবাস। খোলা আকাশের নিচে রান্নাবান্না সারতে হয় আমেনাকে। প্রতিবন্ধী ছেলে রাজ্জাক মিয়া ভবঘুরে। স্বামী সৈয়দ আলীর শরীরেও নানা রোগে বাসা বেঁধেছে। একই অবস্থা আমেনা বেগমেরও। তবুও পেটের তাগিতে ছুটতে হয় মানুষের দুয়ারে। দিনশেষে যেটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে পেট পুড়ে খেতে হয়। মাসে একদিনও খেতে পারে না মাছ-মাংশ। স্বামী-স্ত্রী সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। কারণ একটাই, ভাঙাচুরা ঘর। কখন দুর্যোগ উঠে এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পলিথিন ঘরে বসবাস করে আসছে আমেনার পরিবারটি।

এমন দুর্ভোগের শিকার এ পরিবারটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা থেকেও বঞ্চিত। প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধি দ্বারা আজও তাদের কপালে জুটেনি সরকারি সুযোগ-সুবিধা। সেই সঙ্গে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতেও পায়নি কোনো ত্রাণ-সামগ্রী। সরকার প্রদত্ত সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে আমেনা ও তার স্বামী-সন্তান।

বৃদ্ধার আমেনা বেগমের এসব তথ্যাদির ভিত্তিতে ‘জাগো২৪.নেট’ নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট পত্রিকা ধারাবাহিক দুটি সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয় নজরে পড়ে সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ জাগো২৪.নেট-কে বলেন, বৃদ্ধা আমেনা বেগমের জন্য সরকারিভাবে ঘর বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

জনপ্রিয়

ফলোআপ: সেই আমেনাকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস

প্রকাশের সময়: ০৬:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১

“ঝরি-বাতাস আসলে দৌড় দ্যাম মানসের বাড়িত” ও “কেউ কথা রাখেনি গৃহহীন আমেনার”। এসব শিরোনামে দুটি সংবাদ জাগো২৪.নেটসহ বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এ সংবাদটি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসলে অবশেষে গৃহহীন আমেনাকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিলেন ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) আমেনার জন্য ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে বলে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

উল্লেখ্য: সত্তোরোর্ধ বয়সের আমেনা বেওয়া। স্বামী সৈয়দ আলী বয়সের ভারে ন্যুব্জে পড়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবনে একমাত্র সন্তান রাজ্জাক মিয়া। সেও মানসিক প্রতিবন্ধী। বসবাসের জন্য পলিথিন আর খড়ের বেড়া দিয়ে তুলেছে একটি ছাপড়া ঘর। জরাজীর্ণ এ ঘরে স্বামী-সন্তানের বসবাস। আকাশের মেঘ দেখলে আতঙ্ক বিরাজ করে তাদের মনে। একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই দৌড় দিতে হয় অন্যের বাড়িতে। এছাড়া রান্না ঘর, টিউবয়েল-টয়লেটেও নেই তাদের। নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও। যেনো অন্ধকার ভুতড়ে বসবাস। খোলা আকাশের নিচে রান্নাবান্না সারতে হয় আমেনাকে। প্রতিবন্ধী ছেলে রাজ্জাক মিয়া ভবঘুরে। স্বামী সৈয়দ আলীর শরীরেও নানা রোগে বাসা বেঁধেছে। একই অবস্থা আমেনা বেগমেরও। তবুও পেটের তাগিতে ছুটতে হয় মানুষের দুয়ারে। দিনশেষে যেটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে পেট পুড়ে খেতে হয়। মাসে একদিনও খেতে পারে না মাছ-মাংশ। স্বামী-স্ত্রী সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। কারণ একটাই, ভাঙাচুরা ঘর। কখন দুর্যোগ উঠে এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পলিথিন ঘরে বসবাস করে আসছে আমেনার পরিবারটি।

এমন দুর্ভোগের শিকার এ পরিবারটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা থেকেও বঞ্চিত। প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধি দ্বারা আজও তাদের কপালে জুটেনি সরকারি সুযোগ-সুবিধা। সেই সঙ্গে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতেও পায়নি কোনো ত্রাণ-সামগ্রী। সরকার প্রদত্ত সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে আমেনা ও তার স্বামী-সন্তান।

বৃদ্ধার আমেনা বেগমের এসব তথ্যাদির ভিত্তিতে ‘জাগো২৪.নেট’ নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট পত্রিকা ধারাবাহিক দুটি সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয় নজরে পড়ে সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ জাগো২৪.নেট-কে বলেন, বৃদ্ধা আমেনা বেগমের জন্য সরকারিভাবে ঘর বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।