শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম নদীপারের মানুষ

Exif_JPEG_420

তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ নদী বিধৌত গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার বুকচিরে বয়ে গেছে তিস্তা-বহ্মপুত্র-যমুনাসহ আরও বেশ কিছু নদ-নদী। সম্প্রতি উজানের পানির ঢল বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি। অব্যাহত এই ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সদরসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে নদী ভাঙনের ভয়াবহ দৃশ্য। এসময় নদীর তীরে বসবাসকারি মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্কভাব বিরাজ করছিল।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি থেকে গিদারী ইউনিয়নের ডাঙ্গারঘাট হয়ে ঠাকুরের ভিটা নামকস্থান পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদে প্রায় এক কিলোমিটার ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামার বাজারের উজানে অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি। হুমকির মুখে  পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

ছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার জিয়াডাঙ্গা, মুন্সিপাড়া, দাড়িয়াভিটা ও কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়াসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়াছে। ওইসব স্থানগুলোর ভাঙন কবলে মানুষ হারাচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি। আবার কেউ কেউ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে বাপ-দাদার বসতবাড়ি। ঝুঁকির সম্ভাবনায় রয়েছে কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। রাক্ষুসি নদীর বেপরোয়া  আচরণে  অনেকে নিঃশ্ব হয়ে পথে বসেছে। ভাঙন এলাকার আশপাশের কিছু সংখ্যাক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করাসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে চলেছে এলাকাবাসী। বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়য়ে ইতোমধ্যে জেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও পরিদর্শন করেছেন।   

নদীপারের বাসিন্দা খয়বর রহমান  ভাঙনের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে জানান,  নদীর তীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আপদকালীন কাজ বাস্তবায়নে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অন্যথায় নদীর পেটে তছনছ হয়ে যাবে মানুষের সহায় সম্বল।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান জানান, ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আপতত জিওব্যাগ ড্যাম্পিং ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া স্থায়ীয় সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

 

 

জনপ্রিয়

ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম নদীপারের মানুষ

প্রকাশের সময়: ১০:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ নদী বিধৌত গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার বুকচিরে বয়ে গেছে তিস্তা-বহ্মপুত্র-যমুনাসহ আরও বেশ কিছু নদ-নদী। সম্প্রতি উজানের পানির ঢল বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি। অব্যাহত এই ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সদরসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে নদী ভাঙনের ভয়াবহ দৃশ্য। এসময় নদীর তীরে বসবাসকারি মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্কভাব বিরাজ করছিল।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি থেকে গিদারী ইউনিয়নের ডাঙ্গারঘাট হয়ে ঠাকুরের ভিটা নামকস্থান পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদে প্রায় এক কিলোমিটার ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামার বাজারের উজানে অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি। হুমকির মুখে  পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

ছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার জিয়াডাঙ্গা, মুন্সিপাড়া, দাড়িয়াভিটা ও কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়াসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়াছে। ওইসব স্থানগুলোর ভাঙন কবলে মানুষ হারাচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি। আবার কেউ কেউ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে বাপ-দাদার বসতবাড়ি। ঝুঁকির সম্ভাবনায় রয়েছে কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। রাক্ষুসি নদীর বেপরোয়া  আচরণে  অনেকে নিঃশ্ব হয়ে পথে বসেছে। ভাঙন এলাকার আশপাশের কিছু সংখ্যাক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করাসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে চলেছে এলাকাবাসী। বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়য়ে ইতোমধ্যে জেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও পরিদর্শন করেছেন।   

নদীপারের বাসিন্দা খয়বর রহমান  ভাঙনের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে জানান,  নদীর তীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আপদকালীন কাজ বাস্তবায়নে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অন্যথায় নদীর পেটে তছনছ হয়ে যাবে মানুষের সহায় সম্বল।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান জানান, ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আপতত জিওব্যাগ ড্যাম্পিং ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া স্থায়ীয় সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।