দিনাজপুরের খানসামায় চকসাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দেখা পাননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদা আক্তার।দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগের কথা শুনে গত ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ ইং সালে নিম্ন মাধ্যমিক এবং ২০০০ ইং সালে মাধ্যমিক হিসেবে এমপিওভু্ক্ত হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যা ১২ জন। এছাড়াও বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ৫৭ জন।
জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ১৯ সেপ্টেম্বর ইউএনও ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শন গিয়ে শুধু শিক্ষকদের দেখা পান। কিন্তু তারা কোন শিক্ষার্থীর দেখা পাননি । এতে শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় গত এক সপ্তাহ ধরে অনুপস্থিতি দেখতে পান পরিদর্শকরা।
ইউএনও রাশিদা আক্তার বলেন, চকসাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই। যা মোটেও কাম্য নয়।তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ওই স্কুলের সার্বিক বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহিদুল ইসলাম বুলেটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট