নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর মাত্র ক’দিন বাকি। অথচ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই এখনো উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছায়নি। ফলে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থী নতুন বই হাতে পাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৭ম ও ৮ম শ্রেণির বই সংকটের আশঙ্কা বেশি। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই।
খানসামা উপজেলায় প্রাথমিকের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে পৌঁছেছে। ফলে বছরের শুরুতেই প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই হাতে পাবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির তালুকদার।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরজমিনে দেখা গেছে, নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বই সংগ্রহে ব্যস্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। এ সময় বই বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করতে দেখা যায় উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার শতভাগ বই এসেছে। এর আওতায় উপজেলার ১৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৪টি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০টি বই বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে বই সরবরাহ সন্তোষজনক হওয়ায় শিক্ষকরা বই উৎসব নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছেন।
তবে মাধ্যমিক স্তরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি), মাদ্রাসা ও ইবতেদায়ীসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার বইয়ের। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ শতাংশ বই উপজেলায় পৌঁছেছে। প্রাপ্ত বইয়ের মধ্যেও ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির আংশিক বই এসেছে। কিন্তু সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কোনো বই এখনো আসেনি। এতে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা সব নতুন বই হাতে পাবে কি না তা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির তালুকদার বলেন, ‘বছর শুরুর আগেই চাহিদার শতভাগ বই পেয়েছি। ইতিমধ্যে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই নিয়ে ক্লাস শুরু করতে পারবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহজাহান সরকার বলেন, ‘মাধ্যমিকের সব বই এখনো আসেনি এটা সত্য। তবে প্রতিদিনই নতুন নতুন বইয়ের ট্রাক আসছে। আমরা আশা করছি বই উৎসবের আগেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বই চলে আসবে। যেসব বই এখনো বাকি আছে, সেগুলো দ্রুত সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’
মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) 






















