শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড্রাগন যেন পুকুর পাড়ের কাঁটা তারের বেড়া  

লক্ষ্য  যদি অটুট থাকে আর পরিকল্পনা যদি ঠিক হয়, তাহলে জীবনকে পৌঁছে দেয় সাফল্যের স্বর্ণদুয়ারে। এমনি এক স্বপ্নবাজ আতিকুর রহমান। সুদুর কানাডা থেকে গাইবান্ধার নিজ এলাকায় চাষ করছেন মাছ আর ড্রাগন ফল। এরই মধ্যে পুকুর পাড়ে  ঝুলছে জনপ্রিয় ফল ড্রাগন। এ থেকে লাখ টাকা আয় করছেন এই প্রবাসী।

সম্প্রতি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বড় শিমুলতলা গ্রামে দেখা গেছে, পুকুর ধারে সারি সারি ড্রাগনের গাছ। শোভাবর্ধনে ঝুলছে এই গাছের ফুল ও ফল। যা মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। দেখতেও আসছেন অনেকে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান। জীবনকে পাল্টে দিতে পাড়ি দিয়েছেন বিদেশের কানাডায়। এখান থেকে পরিকল্পনা করে গ্রামের বাড়িতে কিছু করার। যা থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নিজের পরিবারকে আরও স্বাবলম্বী করার। এরই একপর্যায়ে নিজের ১২ বিঘা পুকুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ শুরু করেন। আর এই পুকুর ধারে লাগানো হয়েছে ড্রাগন ফল। গত তিন বছরে আগে  চারা রোপন করা হয়।  এক বছর পর থেকে  ফল আসা শুরু হয়। ফলন ও দামও পাচ্ছেন ভালো। অল্প খরচে এই ফল চাষে বছরে লাখ টাকা আয় তার। কানাডা থেকে আতিকুরের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করছে তার ভাই মোস্তাক আহম্মেদ।

ওই প্রজেক্টে দায়িত্বে থাকা ম‍্যানেজার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে নূহ বলেন, গাছে উৎপাদিত ফল বাজারে নিয়ে বিক্রি  করতে হচ্ছে না। এলাকার ক্রেতারাই বাগানে এসে আড়াই’শ টাকা কেজিতে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। তাই আরও কিছু জমি আবাদ করে ড্রাগন ফলন বৃদ্ধির চিন্তা ভাবনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, কানাডা প্রবাসী আতিকুর রহমানের সার্বিক পরামর্শে প্রথমে পুকুর পাড়ে ২২২ টি ড্রাগন ফলের গাছ রোপন করা হয়। গাছগুলো বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সিমেন্টের খুঁটি পুতিয়ে একটি টায়ার দিয়ে বেঁধে গাছটি টায়ারের ওপর দিয়ে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরের বছর আড়াই মণ ড্রাগন ফল বিক্রি হয়।

মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, একটি গাছ একটানা ২০ বছর ফল দিতে সক্ষম। প্রতি মৌসুমে মার্চ থেকে নভেম্বর পযর্ন্ত ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। এ থেকে খরচ বাদে বছরে প্রায় লাখ টাকা লাভ থাকে।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, ড্রাগ ফল চাষ খুবই লাভজনক। প্রবাসী আতিকুর রহমানকে লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

ড্রাগন যেন পুকুর পাড়ের কাঁটা তারের বেড়া  

প্রকাশের সময়: ০১:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

লক্ষ্য  যদি অটুট থাকে আর পরিকল্পনা যদি ঠিক হয়, তাহলে জীবনকে পৌঁছে দেয় সাফল্যের স্বর্ণদুয়ারে। এমনি এক স্বপ্নবাজ আতিকুর রহমান। সুদুর কানাডা থেকে গাইবান্ধার নিজ এলাকায় চাষ করছেন মাছ আর ড্রাগন ফল। এরই মধ্যে পুকুর পাড়ে  ঝুলছে জনপ্রিয় ফল ড্রাগন। এ থেকে লাখ টাকা আয় করছেন এই প্রবাসী।

সম্প্রতি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বড় শিমুলতলা গ্রামে দেখা গেছে, পুকুর ধারে সারি সারি ড্রাগনের গাছ। শোভাবর্ধনে ঝুলছে এই গাছের ফুল ও ফল। যা মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। দেখতেও আসছেন অনেকে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান। জীবনকে পাল্টে দিতে পাড়ি দিয়েছেন বিদেশের কানাডায়। এখান থেকে পরিকল্পনা করে গ্রামের বাড়িতে কিছু করার। যা থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নিজের পরিবারকে আরও স্বাবলম্বী করার। এরই একপর্যায়ে নিজের ১২ বিঘা পুকুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ শুরু করেন। আর এই পুকুর ধারে লাগানো হয়েছে ড্রাগন ফল। গত তিন বছরে আগে  চারা রোপন করা হয়।  এক বছর পর থেকে  ফল আসা শুরু হয়। ফলন ও দামও পাচ্ছেন ভালো। অল্প খরচে এই ফল চাষে বছরে লাখ টাকা আয় তার। কানাডা থেকে আতিকুরের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করছে তার ভাই মোস্তাক আহম্মেদ।

ওই প্রজেক্টে দায়িত্বে থাকা ম‍্যানেজার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে নূহ বলেন, গাছে উৎপাদিত ফল বাজারে নিয়ে বিক্রি  করতে হচ্ছে না। এলাকার ক্রেতারাই বাগানে এসে আড়াই’শ টাকা কেজিতে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। তাই আরও কিছু জমি আবাদ করে ড্রাগন ফলন বৃদ্ধির চিন্তা ভাবনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, কানাডা প্রবাসী আতিকুর রহমানের সার্বিক পরামর্শে প্রথমে পুকুর পাড়ে ২২২ টি ড্রাগন ফলের গাছ রোপন করা হয়। গাছগুলো বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সিমেন্টের খুঁটি পুতিয়ে একটি টায়ার দিয়ে বেঁধে গাছটি টায়ারের ওপর দিয়ে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরের বছর আড়াই মণ ড্রাগন ফল বিক্রি হয়।

মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, একটি গাছ একটানা ২০ বছর ফল দিতে সক্ষম। প্রতি মৌসুমে মার্চ থেকে নভেম্বর পযর্ন্ত ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। এ থেকে খরচ বাদে বছরে প্রায় লাখ টাকা লাভ থাকে।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, ড্রাগ ফল চাষ খুবই লাভজনক। প্রবাসী আতিকুর রহমানকে লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।