২০০৯ সালে ছোট পরিসরে খামার করার পর এমএ পাস আলেপ আর চাকরির পেছনে আর ছোটেননি।পাবনার চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামের আলেপ হোসেন মাত্র ১টি গাভি দিয়ে খামার শুরু করছিলেন।
গত ১৩ বছরে তিনি তার খামারের ২০০ গরু বিক্রি করেছেন। এখন ৪২টি গরু পালন করছেন। তার স্ত্রী শিল্পীয়ারা পারভীন সাহস জোগানোর পাশাপাশি সব সময় কাজে সহায়তা করেছেন তাকে। তার খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্যদের।
আলেপ হোসেন বলেন, ‘২০০৭ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করার পর ২০০৯ সালে বাবার দেওয়া গাভি পালন শুরু করি। গাভিটার একটা বাছুর হয়। বাছুর বড় হলে সেটা বিক্রি করে আরেকটা গাভি কিনি। এভাবেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। এখন ৪২টি গরু আছে আমার খামারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ বছরে ষাঁড়, গাভি, বাছুর মিলিয়ে ২০০ গরু বিক্রি করেছি। খামার থেকে আয়ের টাকায় ১০ বিঘা জমি কিনেছি। ঘাস উৎপাদনের জন্য আরও ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। এখন আমি প্রায় ২১ বিঘা জমি আবাদ করি। যে ৪২ গরু খামারে আছে সেগুলোর দাম প্রায় ৭৫ লাখ টাকা।’
তিনি আরও জানান, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। গরু পালন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দুজন শ্রমিক কাজ করছেন তার খামারে। তাদের মাসে ত্রিশ হাজার টাকা বেতন দেন তিনি। খাদ্যের দাম দফায় দফায় বাড়লেও গত প্রায় এক যুগে দুধের দাম বাড়েনি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘খাদ্যের দাম বেশি তাই ঘাস উৎপাদনের জন্য নিজের জমি না থাকলে আমরা প্রথমে ছোট আকারের খামার করার পরামর্শ দিই।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৬০ শতাংশ ঘাস উৎপাদন করতে পারলে মোটামুটি ভালো করা যায়। অন্যান্য জিনিসের তুলনায় আনুপাতিক হারে দুধের দাম বাড়েনি। দুধের দাম বাড়লে গাভির খামারিরা লাভবান হবেন।
মাসুদ রানা, করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, পাবনা 



















