কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাইফুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী ফটিক ভূইয়া (৫৫) কে ইয়াবাসহ আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটককৃত ছাইফুল উপজেলার সদর ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের ইজ্জত আলী মাষ্টারের ছেলে। অপর আটককৃতের বাড়ি পাশ্ববর্তী ভূইয়া পাড়া গ্রামে তার পিতার নাম মৃত আক্কেল আলী।
শুক্রবার ( ২৯ জানুয়ারি) র্যাবের পক্ষ থেকে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জামালপুর র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে রাজীবপুর জামালপুর মহাসড়কের কদমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করে জামালপুর র্যাব(১৪) একটি টহল দল।এসময় তাদের কাছে থেকে১৬০৫ পিছ ইয়াবা ট্যবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, ওই রাতের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রাজীবপুর ও দেওয়ানগঞ্জ সীমান্তের কদমতলা এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছাইফুল ও ফটিক আলীকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ৬০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে যুবদল নেতা ছাইফুল ইসলাম পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল। তার ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় এলাকার মানুষ বিস্মিত।তার আটকের বিষয়টি নিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সমালোচনা করছে।
রাজীবপুর উপজেলা যুব দলের সভাপতি রুস্তম মাহমুদ লিখন জাগো২৪.নেট-কে বলেন, তার (ছাইফুলের) ইয়াবা সহ আটকের বিষয়টি শুনেছি এবং জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হয়েছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বত কবীর জাগো২৪.নেট-কে বলেন, র্যাবের হাতে ইয়াবাসহ আটক দুই জনের বিরুদ্ধে র্যাব বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
করেসপন্ডেন্ট জাগো২৪.নেট, রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম) 
























