বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০টি সাঁওতাল পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পাকা ঘর উপহার

মুজিববর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে সাড়ে ৩ হাজার ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে চলছে এই কার্যক্রম। এই সুবিধার আওতায় সমতলে বাস করা গাইবান্ধার ৫০টি সাঁওতাল পরিবারও পেয়েছে পাকা ঘর।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকা চাঙুরিয়া গ্রাম। পাখির চোখে স্পষ্ট মরাবস্তা পুকুরপাড়ের রঙিন ঘরগুলো।পাশেই খুনসুটিতে ব্যস্ত বুদিন হাসদা ও মণ্ডল মুরমু। মাটির ঘরের বাসিন্দারা পেলেন দুই কক্ষের সেমিপাকা বাড়ি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন ৭০ উর্ধ্ব এই সাঁওতাল দম্পতি।

তারা বলেন, ‘আগে চালের ঘর ছিলো। এটা ভাঙে, ঠিক করলে তো আরেকটা ভাঙে। এখন তো ভেঙে পড়বে না। ভালো হয়েছে।’প্রতিবেশী মঙ্গল মুরমু ও বেহুলা হাসদও ফেলে আসা দিনের গল্পে মশগুল। এক সময় ঝড়-বৃষ্টিতে মাটির ঘরে পানির সঙ্গে চলতো নিত্যদিনের যুদ্ধ। তা এখন শুধুই অতীত। পেয়েছেন বাড়ি। স্বাবলম্বী হতে ব্যস্ত গবাদিপশু লালন-পালনে।

বেহুলা হাসদ জানান, ‘ঝড়-তুফান হলে ভেঙে নিয়ে যায় ঘর। কষ্ট করে টিন দিলাম ওটাও তুফানে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা আমাদের ঘর দিয়েছেন আমরা খুুশি ও সন্তুষ্ট।’মুজিববর্ষে ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সমতলের এই ৫০ সাঁওতাল পরিবারও পেয়েছে একটি করে ঘর। ঘর পেয়ে তারা আনন্দিত।শুধু ঘরই নয়; সন্তানদের শিক্ষার জন্যও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল মিয়ে বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ এলাকায় উন্নয়ন কর্মসূচি আছে। যার আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৫০০ পরিবার যারা প্লেইন ল্যান্ডে বসবাস করছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণকে গৃহ দেয়া হচ্ছে।’

জনপ্রিয়

৫০টি সাঁওতাল পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পাকা ঘর উপহার

প্রকাশের সময়: ১১:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মুজিববর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে সাড়ে ৩ হাজার ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে চলছে এই কার্যক্রম। এই সুবিধার আওতায় সমতলে বাস করা গাইবান্ধার ৫০টি সাঁওতাল পরিবারও পেয়েছে পাকা ঘর।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকা চাঙুরিয়া গ্রাম। পাখির চোখে স্পষ্ট মরাবস্তা পুকুরপাড়ের রঙিন ঘরগুলো।পাশেই খুনসুটিতে ব্যস্ত বুদিন হাসদা ও মণ্ডল মুরমু। মাটির ঘরের বাসিন্দারা পেলেন দুই কক্ষের সেমিপাকা বাড়ি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন ৭০ উর্ধ্ব এই সাঁওতাল দম্পতি।

তারা বলেন, ‘আগে চালের ঘর ছিলো। এটা ভাঙে, ঠিক করলে তো আরেকটা ভাঙে। এখন তো ভেঙে পড়বে না। ভালো হয়েছে।’প্রতিবেশী মঙ্গল মুরমু ও বেহুলা হাসদও ফেলে আসা দিনের গল্পে মশগুল। এক সময় ঝড়-বৃষ্টিতে মাটির ঘরে পানির সঙ্গে চলতো নিত্যদিনের যুদ্ধ। তা এখন শুধুই অতীত। পেয়েছেন বাড়ি। স্বাবলম্বী হতে ব্যস্ত গবাদিপশু লালন-পালনে।

বেহুলা হাসদ জানান, ‘ঝড়-তুফান হলে ভেঙে নিয়ে যায় ঘর। কষ্ট করে টিন দিলাম ওটাও তুফানে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা আমাদের ঘর দিয়েছেন আমরা খুুশি ও সন্তুষ্ট।’মুজিববর্ষে ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সমতলের এই ৫০ সাঁওতাল পরিবারও পেয়েছে একটি করে ঘর। ঘর পেয়ে তারা আনন্দিত।শুধু ঘরই নয়; সন্তানদের শিক্ষার জন্যও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল মিয়ে বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ এলাকায় উন্নয়ন কর্মসূচি আছে। যার আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৫০০ পরিবার যারা প্লেইন ল্যান্ডে বসবাস করছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণকে গৃহ দেয়া হচ্ছে।’