তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধা জেলায় অস্থির পণ্যের দামের মধ্য শীতকালীন শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। গত একসপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে অর্ধেক কমেছে। এমন দাম কমলেও এখনও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে শাক-সবজি দাম কমের হিসাব। বর্তমানে প্রতিকেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, মুলা-বেগুন ৩০ টাকা, শসা ২০ টাকা, টমেটা-সিম-বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, করলা-ঢেঁড়স ৪০ টাকা, আলু ৪৫, কাঁচা মরিচ-পেঁয়াজ ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫ থেকে ৪০ টাকা দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, পুঁইশাক, পালং শাক, কলমি শাক, লাউ শাক, মূলা শাক, সরিষা শাক, ধনেয়া শাকসহ বিভিন্ন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। অথচ গত একসপ্তাহ আগে এসব শাক-সবজি দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কৃষিভান্ডার খ্যাত হিসেবে গাইবান্ধা জেলা। এখানকার গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ীসহ অন্যান্য উপজেলার মাঠপর্যায়ে ব্যাপক শাক-সবজি উৎপাদন হয়। বিশেষ করে রবি মৌসুমে (শীতকালীন) অধিক পরিমাণের শাক-সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এ বছরে তা ব্যর্তয় ঘটেনি। তবে গেল খরিপ মৌসুমে উৎপাদন কম ও অন্যান্য পণ্যের দামের প্রভাবে শাক-সবজির উর্ধ্বগতি দাম ছিলো। সেটি রবি মৌসুমে এসে কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
ভোক্তা শাহজাহান আলী বলেন, সবজিসহ অগ্নিমূল্য পণ্য দামে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে।
খুচরা বিক্রিতা লাল মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, গত একসপ্তারের ব্যবধানে সব ধরণের সবজি অর্ধেক দাম কমেছে। দাম কমলে বিক্রি বাড়ে। এতে লাভ হয় বেশী।
কৃষক আমশের আলী বলেন, চলতি রবি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহও চলছে। আগামী একসপ্তাহ পর পুরোদমে উৎপাদন হবে। আরও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করেও লাভ থাকবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম জাগো২৪.নেট-কে বলেন, চলতি রবি মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। কৃষকদের আগ্রহ অনুযায়ী সপ্তাহের দিকে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ সার্বিক পরাশর্ম প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট 























