রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা পৌরপার্কে ৫দিনব্যাপী নারী উদ্যাক্তা মেলা

অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে নারীদের প্রতিভা ও পরিচিতি বাড়াতে উদ্যোক্তার অগ্রযাত্রার ফেসবুক পেজ এর আয়োজনে গাইবান্ধা পৌরপার্কে ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা পৌরপার্কে ৫দিনব্যাপী নারী উদ্যাক্তা মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০ টায় মেলা শুরু রাত ৯ টা অবধি চলবে এই মেলা। পণ্য মেলায় স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি শাল, থ্রি-পিস, অন পিস, টু-পিস, শাল, বিছানার চাদর, রাজশাহী সিল্ক, ডালের বড়ি, আচার, কেক, পুডিং, সহ বিভিন্ন রকম পণ্যের পেন্টা ফ্যাশন, কল্পতরু বুটিক হাউস, কারুপল্লী, দেশোয়ান, মৌসুমি কেক হাউস, আপন কারুলয়, মোট ৫০ টি স্টল প্রদর্শন হচ্ছে। এতে নতুন-পুরাতন মিলে মোট অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। মেলা বিনোদনকেন্দ্রে পরিনত হওয়ায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণা বেড়ে গেছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো জিনিস ক্রয় করতে পারে বিভিন্ন দোকানের ভিড় জমাচ্ছেন। স্মরন সাহা নামে এক ক্রেতা জানান- মেলায় জিনিসপত্র কেনার মজাই আলাদা। মনে একটা আনন্দ জাগে। মার্কেটে আমরা যেসব জিনিসপত্র পাইনা। সেগুলো মেলায় পাই।মেলায় কেনাকাটায় সুবিধা হয়। দেখেশুনে পছন্দমতো নিতে পারি। পেন্টা ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান এর নারী উদ্যাোক্তা মিষ্টি শাহরিয়ার এই প্রতিবেদক কে বলেন – উদ্যোক্তার অগ্রযাত্রার ফেসবুক পেজ এর আয়োজনে গাইবান্ধা পৌরপার্কে ৩ দিনব্যাপী মেলার কথা থাকলেও শুক্রবার মেলার প্রথমদিন ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বেচাবিক্রি ভালই হয়েছে। এ জন্য আমরা মেয়র সাহেবকে বলে আরও দুদিন মেয়াদ বাড়িয়ে মোট ৫ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছি। আমরা মেলার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ ও নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের নিজেদের হাতে ডিজাইন করা কাপড় মেলায় তুলে ধরতে পাচ্ছি। প্রতিবার মেলা থেকে আমরা ভাল রেসপন্স পাচ্ছি৷ এই জন্য আমরা ঘন ঘন মেলা দিচ্ছি। তবে মেলা এক মাস চালাতে পারলে ভাল হতো। এই মেলার মাধ্যমে নারীদের কাজ ও ডিজাইন গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছে ফলে ব্যবসার প্রচার ও প্রসার হচ্ছে। আমার এখানে থ্রি পিস, টু পিস সহ মহিলাদের বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে তবে মেলায় বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রথম আমরা ৫০ টি ষ্টল নিয়ে মেলা করছি। এর আগে অল্প সংখ্যক ষ্টল নিয়ে মেলা করেছি সময় ও সুযোগ না থাকার কারনে। মেলার মাধ্যমে শহরের পরিচিতি বাড়াচ্ছি। কল্পতরু বুটিক হাউস এর পরিচালক ও নারী উদ্যোক্তা রনী চাকী জানান, গাইবান্ধায় যত নারী উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের মধ্যে একটা পরিচিতি বন্ধন তৈরি করার জন্য এই মেলা। আমরা কতজন নারী উদ্যোক্তা রয়েছি, কি কি নিয়ে কাজ করছি। কোথা থেকে কাজ করছি সেজন্য আজকের এই আয়োজন। এখানে শাল, থ্রি পিস, অনপিস, টু-পিস, রাজশাহী সিল্ক, ডালের বড়ি, আচার এসব পাওয়া যায় ও অনলাইনে বিক্রি করি।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধা পৌরপার্কে ৫দিনব্যাপী নারী উদ্যাক্তা মেলা

প্রকাশের সময়: ০৫:১৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে নারীদের প্রতিভা ও পরিচিতি বাড়াতে উদ্যোক্তার অগ্রযাত্রার ফেসবুক পেজ এর আয়োজনে গাইবান্ধা পৌরপার্কে ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা পৌরপার্কে ৫দিনব্যাপী নারী উদ্যাক্তা মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০ টায় মেলা শুরু রাত ৯ টা অবধি চলবে এই মেলা। পণ্য মেলায় স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি শাল, থ্রি-পিস, অন পিস, টু-পিস, শাল, বিছানার চাদর, রাজশাহী সিল্ক, ডালের বড়ি, আচার, কেক, পুডিং, সহ বিভিন্ন রকম পণ্যের পেন্টা ফ্যাশন, কল্পতরু বুটিক হাউস, কারুপল্লী, দেশোয়ান, মৌসুমি কেক হাউস, আপন কারুলয়, মোট ৫০ টি স্টল প্রদর্শন হচ্ছে। এতে নতুন-পুরাতন মিলে মোট অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। মেলা বিনোদনকেন্দ্রে পরিনত হওয়ায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণা বেড়ে গেছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো জিনিস ক্রয় করতে পারে বিভিন্ন দোকানের ভিড় জমাচ্ছেন। স্মরন সাহা নামে এক ক্রেতা জানান- মেলায় জিনিসপত্র কেনার মজাই আলাদা। মনে একটা আনন্দ জাগে। মার্কেটে আমরা যেসব জিনিসপত্র পাইনা। সেগুলো মেলায় পাই।মেলায় কেনাকাটায় সুবিধা হয়। দেখেশুনে পছন্দমতো নিতে পারি। পেন্টা ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান এর নারী উদ্যাোক্তা মিষ্টি শাহরিয়ার এই প্রতিবেদক কে বলেন – উদ্যোক্তার অগ্রযাত্রার ফেসবুক পেজ এর আয়োজনে গাইবান্ধা পৌরপার্কে ৩ দিনব্যাপী মেলার কথা থাকলেও শুক্রবার মেলার প্রথমদিন ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বেচাবিক্রি ভালই হয়েছে। এ জন্য আমরা মেয়র সাহেবকে বলে আরও দুদিন মেয়াদ বাড়িয়ে মোট ৫ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছি। আমরা মেলার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ ও নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের নিজেদের হাতে ডিজাইন করা কাপড় মেলায় তুলে ধরতে পাচ্ছি। প্রতিবার মেলা থেকে আমরা ভাল রেসপন্স পাচ্ছি৷ এই জন্য আমরা ঘন ঘন মেলা দিচ্ছি। তবে মেলা এক মাস চালাতে পারলে ভাল হতো। এই মেলার মাধ্যমে নারীদের কাজ ও ডিজাইন গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছে ফলে ব্যবসার প্রচার ও প্রসার হচ্ছে। আমার এখানে থ্রি পিস, টু পিস সহ মহিলাদের বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে তবে মেলায় বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রথম আমরা ৫০ টি ষ্টল নিয়ে মেলা করছি। এর আগে অল্প সংখ্যক ষ্টল নিয়ে মেলা করেছি সময় ও সুযোগ না থাকার কারনে। মেলার মাধ্যমে শহরের পরিচিতি বাড়াচ্ছি। কল্পতরু বুটিক হাউস এর পরিচালক ও নারী উদ্যোক্তা রনী চাকী জানান, গাইবান্ধায় যত নারী উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের মধ্যে একটা পরিচিতি বন্ধন তৈরি করার জন্য এই মেলা। আমরা কতজন নারী উদ্যোক্তা রয়েছি, কি কি নিয়ে কাজ করছি। কোথা থেকে কাজ করছি সেজন্য আজকের এই আয়োজন। এখানে শাল, থ্রি পিস, অনপিস, টু-পিস, রাজশাহী সিল্ক, ডালের বড়ি, আচার এসব পাওয়া যায় ও অনলাইনে বিক্রি করি।