রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

২ টাকার লেবু ১০ টাকা

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪

তোফায়েল হোসেন জাকির: রোজাদার মানুষকে এক গ্লাস লেবুর শরবত শরীরকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই লেবু দাম অস্থির অবস্থায়। গত সপ্তাহে যে লেবুর প্রতিপিস দাম ছিলো ২ টাকা। কিন্ত সেই লেবু রমজানের প্রথমদিনে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক রোজাদার ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লেবুর দাম আকাশচুম্বি। মানভেদে হাইব্রিড জাতের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে। আর দেশিয় জাতের লেবু ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজায় লেবুর শরবত অনেকের কাছে প্রিয় হলেও সেটি দামের কারণে অপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

স্থানীয় রোজাদাররা জানায়, রমজান মাসে গাইবান্ধায় নানা ধরনের নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেবুর দামও। রোজার শুরুতে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিপিস হাইব্রিড লেবু ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোজার আগে এই লেবুর প্রতিপিস দাম ছিল ২-৩ টাকা।

খয়রাজামান মন্ডল নামের এক ব্যক্তি  জাগো২৪.নেট-কে  জানান, ইফতারির সময় লেবুর শরবত পান করতে তিনি এক হালি লেবু কিনেছেন ৪৩ টাকা দিয়ে। আবার এসব লেবুর রসও কম। অথচ কিছুদিন আগে একই সাইজের লেবু ১২ টাকা হালিতে কিনেছিলেন। তাই এখন থেকে লেবুর শরবতের বদলে খাবার স্যালাইন অথবা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি লবন-চিনি মিশিয়ে পান করবেন বলে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন তিনি।

রোমান চৌধরী নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, রোজায় লেবুর পাশাপাশি বেগুন-শসা ও ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু গত বছরে এসব পণ্যের দাম কম থাকলেও এবার রমজান মাসে দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেটানো হচ্ছে।

খুচরা লেবু বিক্রেতা লাল মিয়া জাগো২৪.নেট-কে  বলেন, এই সময়ে লেবুর আমদানি কম থাকে। দেশি জাতের লেবু খোঁজ মেলে না। কিছুটা হাইব্রিড লেবু পাওয়া যায়। তাই অধিক দামে কিনে প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা থেকে ৪০ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কয়েকটি হাইব্রিড জাতের লেবুর গাছ লাগিয়েছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন কম। তাই নিজের কিছুটা চাহিদা পূরণ করে অর্থের যোগান দিতে বাজারে লেবু বিক্রি করছি। পাইকারি মূল্যে এক হালি লেবু ২৫ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছি।

গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জাগো২৪.নেট-কে  জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন