সঞ্জয় সাহা: বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান ও কিছু বাসা-বাড়ির আঙিনায় ফুলেল শোভাবর্ধণ লক্ষ্য করা গেলেও সরকারি অফিস সমূহে সুন্দর ফল বাগান সচরাচর চোথে পড়ে না। তবে গাইবান্ধা এলজিইডি অফিসে প্রবেশ করলেই নজরকাড়ে ফুলবাগান। সেখানে বাগানজুড়ে রয়েছে নানা জাতের ফুল। এটি যেন কর্মকর্তা ও সেবাগ্রহীতাদের মাঝে মগ্ধতা ছড়াচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে- বিভিন্ন ফুলের সমারোহে সৌন্দর্য বর্ধিত হয়েছে গাইবান্ধা এলজিইডি অফিস। গাইবান্ধা শহর থেকে পলাশবাড়ী সড়কে দূর যেতেই সড়কের বাম দিকে চোখে পড়ে গাইবান্ধা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর।
এলজিইডির মুল গেইট দিয়ে ঢুকেই ভবনের সামনে সুজ্জিত বাগান। বাগানে ফুটে রয়েছে গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, সিজিনাল ফুল গাঁদা, গ্লাডিউলাস, রকমারি পাতাবাহার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতের ফুল। ফলে সারাদিন কাজ কর্মের পর কর্মকর্তারা বাগানে গেলে ফুলের গন্ধে ও সৌন্দর্যে প্রশান্ত পাওয়া সহ ক্লান্তি দূর ও বিমোহিত হন কর্মকর্তা ও অফিসের কাজে আসা দর্শনার্থীরা।
রাজু মিয়া নামের এক ঠিকাদার জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এক সময় এলজিইডি কার্যালয় চত্বর ছিল নির্জন, নিস্তব্দ। এখন সেই অফিসের রুপ পাল্টেছে। সৌন্দর্যায়ন আর পরিচ্ছন্নতায় এলজিইডি গাইবান্ধা জেলা কার্যালয় অফিস অন্যদের বার্তা দিচ্ছে সৌন্দর্য বর্ধন করতে। কেবল ফুল নয়, অফিসের চারপাশে রয়েছে ঝাউ, নারকেল, সুপাড়ি গাছ।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ছাবিউল ইসলাম জাগো২৪.নেট-কে জানান, এখানে বড় গোলাপ, গাদা, চন্দ্রমল্লিকা, সহ বিভিন্ন রকম ফুল রয়েছে। বগুড়ায় একটি নার্সারী থেকে চারা রোপণে পরিচর্যা করা হয়। সারাদিন কাজের পর ফুল ও বাগান দেখলে ভালো লাগে। মানষিক প্রশান্তিও হয়। আর অফিস চত্বরের পরিবেশ সুন্দর থাকলে অনেকটা ভাল লাগে। তাই পরিবেশ রক্ষায় অফিসের সৌন্দর্য বর্ধনে সকলকে নিজ নিজ অফিস চত্বরে গাছ লাগিয়ে তার পরিচর্যা করা প্রয়োজন।
সঞ্জয় সাহা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 

























