বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খানসামায় পোল্ট্রি খামারে অগ্নিকাণ্ড, সাড়ে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা তিস্তার পানি নিয়ে আসব:  মির্জা ফখরুল পাবনায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন ৮ বছর ধরে পড়ে আছে সেতু! বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা সাদুল্লাপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিস্তারপাড়ের কষ্ট লাঘব করা হবে- বরকত উল্লাহ বুলু সাদুল্লাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জামায়াতের নেতাকর্মী আসামি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, বিষপান স্বামীর সাদুল্লাপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাইবান্ধার সামগ্রিক উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিতকরণ-সমাধান করণীয় শীর্ষক সেমিনার

গাইবান্ধায় বন্যা মোকাবিলায় যেসব কার্যক্রম প্রশাসনের

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪

তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটিতে বন্যার আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৬৫৯ পরিবারের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। এসব মানুষদের নিরাপদে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এই দপ্তর সুত্রে আরও জানা যায়, গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত উপজেলা রয়েছে চারটি। এগুলো হচ্ছে- গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি। এসব উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ৩৯ হাজার ৬৫৯ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। বিশেষ করে সাঘাটা উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা অনেকটা বেশি। বন্যা দুর্গতদের জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। এর মধ্যে সাঘাটা ৩৬, সুন্দরগঞ্জ ৪৮, ফুলছড়ি ২৩, সদর ২৪, সাদুল্লাপুর ৩৩, পলাশবাড়ী ৬ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১১টি।

ইতোমধ্যে প্রশাসনের গৃহীত কার্যক্রমে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩৮৫ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা চারটি উপজেলায় উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পীড বোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা-উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জেরিকেন এবং ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএনএফপিই’র সহায়তা ২ হাজার ৪০০ নারীর মাঝে ১৬ ধরণের উপকরণ সামগ্রী মর্যাদা সুরক্ষা কিট ও প্রত্যেককে ৯০০ টাকা করে যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়ছে। জেলায় ৯০৮ জনকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিং পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৫০ জন হিজড়াকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা নগদ প্রদান করা হয়। জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৭৭১ পরিবারকে বন্যা পূর্বপ্রস্ততি হিসেবে পরিবার প্রতি ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া ১০টি ক্লাস্টারভিলেজ, ৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও জিইউকের পরিচালিত ৬টি স্কুলে অন্ততপক্ষে ৫ শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে সহায়তা করা হয়েছে। উদ্ধার নৌকার মাধ্যমে ৩০০ নারী-পুরুষ, শিশু, পাবিবন্ধী ও বৃদ্ধসহ তাদের সহায়সম্পদ নিরাপদে পৌঁছি দেওয়া হয়।

স্থানীয় কুন্দেরপাড়া গণউন্নয়ন কেন্দ্র বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও বিভিন্ন বাঁধে ২০ ল্যাট্রিন সেট ও ২টি নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে টিনসেট স্থাপন করে শতাধিক পরিবারের অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি এ গবাদি পশুর জন্য পলিথিন সিট দেয়া হয়েছে ১ হাজার ফিট বিতরণ করা হয়। ৪৫টি ইউনিয়নে ২৫০জন স্বেচ্ছাসেবক বন্যা সংক্রান্ত জরুরি সংবাদ প্রচার অব্যাহত রাথছেন। সংস্থার দুই শতাধিক দক্ষ কর্মী ভানবাসী মানুষের জন্য পাশে থেকে উদ্ধার ও ত্রাণ প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। ডব্লউিএফপি’র সহায়তায় ১০ হাজার পরবিারকে শুকনো খাবার হিসেবে বিস্কুট ও ৭ হাজার পরবিাররে মাঝে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা এবং বাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ স্লটে ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে।

গাইবন্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া বলেন- ৬৪৫ মেট্রিকটন জিআর চাল, ৫ লাখ টাকা এবং ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তা বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ইতোমধ্যে সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় ব্রহ্মপুত্রে ২৪ ও ঘাঘট নদের পানি ১৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া করতোয়া ১২৩ ও তিস্তার পানি ১৭ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। যা গত ২৪ ঘন্টায় পানি কমেছে অনেকটা। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। নদ-নদী ও বাঁধের ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল, কৃষি, স্বেচ্ছাসেবক, লাইভস্টোক দল গঠন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা চলমান রয়েছে। বন্যা মোবাবিলায় সব ধরণের কার্যক্রমন অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন