মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খানসামায় পোল্ট্রি খামারে অগ্নিকাণ্ড, সাড়ে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা তিস্তার পানি নিয়ে আসব:  মির্জা ফখরুল পাবনায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন ৮ বছর ধরে পড়ে আছে সেতু! বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা সাদুল্লাপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিস্তারপাড়ের কষ্ট লাঘব করা হবে- বরকত উল্লাহ বুলু সাদুল্লাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জামায়াতের নেতাকর্মী আসামি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, বিষপান স্বামীর সাদুল্লাপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গাইবান্ধার সামগ্রিক উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিতকরণ-সমাধান করণীয় শীর্ষক সেমিনার

কালভার্ট নির্মাণে মানুষ হারাচ্ছে চিরচেনা পথ

তোফায়েল ও শামীম, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপুকুর পাকা সড়ক ঘেঁষে বুজরুক পাকুরিয়া নামক স্থানের মাত্র এক কিলোমিটার মেঠোপথ। এরই মাঝখানে একটি উঁচু কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণের ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও দুইপাশে ভরাট করা হয়নি মাটি। ফলে মানুষের চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ। ব্যবহার অনুপযোগী এই কালভার্ট নির্মিত হওয়ায় এখন এলাকাবাসী হারিয়ে ফেলেছেন তাদের পূর্বের পথটিও। বর্তমানে এই কালভার্টটি ভেঙে ফেলার দাবি এলাকাবাসীর।

সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে বুজরুক পাকুরিয়া গ্রামের মেঠোপথে নজরে পড়ে নিঃসঙ্গ এই কালভার্টটি। সংযোগ মুখে মাটি না থাকায় মানুষের চলচলা বন্ধ হয়েছে এ পথে।

এলাকাবাসী জানায়, ওই রাস্তা দিয়ে যুগ যুগ ধরে এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতেন। এরই মধ্যে এসডিএফ নামের সংস্থার অর্থায়নে প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করে। আর এটি নির্মাণের ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগের জন্য দুই মুখে এখনো মাটি ভরাট করা হয়নি। এমতাবস্থায় বন্ধ হয়েছে মানুষের চলাফেরা। যার কারণে ৪২ লিং প্রসস্ত রাস্তাটি কৃষকরা ধীরে ধীরে কেটে নিয়ে এখন ২০ লিং দৃশ্যমান রয়েছে। যুগযুগ ধরে হাঁটা পথের ওপর ব্যবহার অনুপযোগী ওই কালভার্ট নির্মিত হওয়ায় এখন এলাকাবাসী হারিয়ে ফেলেছেন তাদের চলাচলের পূর্বের পথটিও। তবে কতিপয় লোকজন বিশেষ প্রয়োজনে মই বেয়ে ওঠে চলাচল করছেন।

স্থানীয় মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের এই পথে কালভার্টের দরকার ছিলো না। প্রকল্পের নামের এনজিওর টাকা দিয়ে এই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সেখানে দুইপাশে মাটি ভরাট না করায় এ পথে মানুষর চলাচল উঠে গেছে। তাই এই কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হলে শত বছরের চেনা পথটি ফিরে পাবেন জনসাধারণ।

এ বিষয়ে এসডিএফ সংস্থার তৎকালীন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, ওই জায়গায় কালভার্ট নির্মাণের পর মাটি ভরাটের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে অন্য পাশে পাকা সড়ক হওয়ায় একটু ঘুর হলেও সেদিক দিয়ে এখন এই এলাকার মানুষ চলাচল করছেন।

খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান নওশা মিয়া ওই রাস্তার ওপর কালভার্টটি অনেক উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। সংযোগে মুখে মাটি ভরাটের প্রকল্প পেলে তা গ্রহণ করা হবে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেজাউল করিম বলেন, এই কাজ দেখভাল দায়িত্ব আমার দফতরের না। যারা কালভার্ট নির্মাণ করেছে তারায় সেখানে মাটি ভরাট করবেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন