শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন

২০ লাখ টাকা হলে বাঁচবে পারে জনি মিয়া

জাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪

অভাবের সংসারে আশার প্রদীপ ছিল জনি মিয়া (২৩)। বাবা ছামিউল ইসলাম (ছামি) বাবুর্চির কাজ করে কোন রকম সংসার চালাতেন। যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার খরচ আর ছেলের পড়াশোনায় ব্যয় হতো। স্বপ্ন দেখতেন ছেলে পড়াশোনা শেষে চাকরি করে অভাবের সংসারে হাল ধরবে। কিন্তু বিধিবাম! আশার প্রদীপ জ্বলার আগেই নিভুনিভু করছে। দীর্ঘদিন ধরে দুটি কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু পদযাত্রী তার ছেলে জনি। জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগিতার আকুতি বাবার।

অসুস্থ জনি মিয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা (আজিজমোড়) গ্রামের বাবুর্চি ছামিউল ইসলামের (ছামি) দ্বিতীয় সন্তান। তার বড় ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। সে সাতগীরি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছে। এরপর স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের চাকরি নেন। অসুস্থতার কারণে মুয়াজ্জিনের কাজে যেতে পারছেনা। দীর্ঘদিন ধরে দুটি কিডনি বিকল হয়ে শয্যাশায়ি জনি বেঁচে থাকতে এখন বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে আছেন।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল জনি। এরপর ডাক্তার দেখালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার দুটি কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় কিডনি দুটি বিকল হয়ে পড়ে। পরিবারের দ্বিতীয় ছেলে জনির এমন জঠিল রোগের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে দিনমজুর বাবা। ঠিক মতো চিকিৎসা খরচ চালাতে না পারায় ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিচ্ছে। জনি বর্তমানে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শারমিন সুলতানা হ্যাপির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। ডাক্তার জানিয়েছে জনির কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। এতে খরচ হবে অন্তত ২০ লাখ টাকা। কিন্তু এত পরিমাণ টাকা দিনমজুর বাবার পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য ও সহযোগীতা চেয়েছেন জনির পরিবার।

অন্যদিকে, অসুস্থ জনির চিকিৎসার অর্থ জোগাড়ে এগিয়ে এসেছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর উদ্যােগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী ও তার বন্ধুরা বিভিন্ন বিত্তবানদের দারস্থ হচ্ছেন।

অসুস্থ জনি মিয়া জানান- দীর্ঘদিন ধরে আমার দুটি কিডনি নষ্ট। দিনদিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ডাক্তার বলেছে দ্রুত অপারেশন করে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে, না হলে আমি বাঁচবো না। আমি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই। আপনারা সাহায্য করলেই আমি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবো।

জনির বাবা ছামিউল ইসলাম জানান- আমার দুই সন্তানের মধ্যে জনি ছোট। বড় ছেলেটা মানসিক ভারসাম্যহীন। ভেবেছিলাম ছোট ছেলেটা চাকরি করে অভাবের সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমার ছোট ছেলেটা হঠাৎ অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জনির কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। টাকার অভাবে ঠিক মতো চিকিৎসা করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন- মানুষের বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে রান্নার কাজ করে যে টাকা আয় করি সেটা সংসার খরচ চালাতেই শেষ হয়ে যায়। এত কঠিন রোগ আল্লাহ আমার ছেলেকে দিয়েছে কিভাবে তার চিকিৎসা করবো? মানুষের সাহায্য পেলে হয়তো ছেলেটা বাঁচবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন