শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিবাদকে বাংলার মাটিতে আর কখনো পুনর্বাসিত হতে দেব না

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যাপক আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তার লুটপাটের মধ্য দিয়ে বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ভারত বসে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি ফ্যাসিবাদী অপশক্তিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব। এই ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া যাবে না।

গতকাল শনিবার বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা গণহত্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখা এ গণ সমাবেশের আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, ‘শাপলা চত্বর, পিলখানা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেলাফত আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দেশে নতুন গণজাগরণ সৃষ্টি করতে চাই।’

অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার পশ্চিমা শক্তির দোসরদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার নীলনকশা করছে। দেশের তাওহিদি জনতা তা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দিন। প্রবাসীরাও যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না।’

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বাংলাদেশে আমরা খেলাফত মজলিসকে দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এদেশের আলেম সমাজকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আমাদের সংগ্রাম কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি ইসলামী মূল্যবোধ ও তাওহিদের লড়াই।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মুফতি মাহমুদ আল মামুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ মুত্তালিবের সংঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা শাখার উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মানসুরুর রহমান খাঁন, জেলা সভাপতি মুফতি ইউসুফ কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ আলম ফয়েজী, সহ-সভাপতি হাফেজ আব্দুল মজিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম সরকার, ইমাম-ওলামা পরিষদের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইমাম-ওলামা পরিষদের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন, জেলা খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহা. আইয়ুব বিন উসামা, বাংলাদেশ যুব মজলিস, সুদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মুহা. আখতারুজ্জামান তারেক প্রমুখ।

পরে আল্লামা মামুনুল হক গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মুফতী মাহমুদ আল মামুন, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে হাফেজ আব্দুল মজিদ, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে মাওলানা শাহ আলম ফয়জী, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে মুফতী আবু ইউসুফ।

জনপ্রিয়

ফ্যাসিবাদকে বাংলার মাটিতে আর কখনো পুনর্বাসিত হতে দেব না

প্রকাশের সময়: ১০:৪১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যাপক আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তার লুটপাটের মধ্য দিয়ে বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ভারত বসে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি ফ্যাসিবাদী অপশক্তিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব। এই ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া যাবে না।

গতকাল শনিবার বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা গণহত্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখা এ গণ সমাবেশের আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, ‘শাপলা চত্বর, পিলখানা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেলাফত আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দেশে নতুন গণজাগরণ সৃষ্টি করতে চাই।’

অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার পশ্চিমা শক্তির দোসরদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার নীলনকশা করছে। দেশের তাওহিদি জনতা তা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দিন। প্রবাসীরাও যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না।’

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বাংলাদেশে আমরা খেলাফত মজলিসকে দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এদেশের আলেম সমাজকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আমাদের সংগ্রাম কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি ইসলামী মূল্যবোধ ও তাওহিদের লড়াই।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মুফতি মাহমুদ আল মামুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ মুত্তালিবের সংঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা শাখার উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মানসুরুর রহমান খাঁন, জেলা সভাপতি মুফতি ইউসুফ কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ আলম ফয়েজী, সহ-সভাপতি হাফেজ আব্দুল মজিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম সরকার, ইমাম-ওলামা পরিষদের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইমাম-ওলামা পরিষদের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন, জেলা খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহা. আইয়ুব বিন উসামা, বাংলাদেশ যুব মজলিস, সুদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মুহা. আখতারুজ্জামান তারেক প্রমুখ।

পরে আল্লামা মামুনুল হক গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মুফতী মাহমুদ আল মামুন, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে হাফেজ আব্দুল মজিদ, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে মাওলানা শাহ আলম ফয়জী, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে মুফতী আবু ইউসুফ।