গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় সাদা মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫০) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার মামলার জামিনে আসা আসামিদের প্রাণনাশের হুমকিতে বাদী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আরাজী ছান্দিয়াপুর গ্রামে দেখা গেছে- ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ। আসামি আইয়ুব আলী গংদের অব্যাহত হুমকিতে চরম আতঙ্কে আছেন বাদী শাহারুল ইসলামসহ তার বাবা-মা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- জমি সংক্রান্ত বিরোধে ১৯৮৫ ও ৯২ সালে আরাজী ছান্দিয়াপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আইয়ুব আলী গংরা সাদা মিয়াসহ তার বাবা-ভাই-বোনদের জড়িয়ে মামলা করেন। তারপর এ মামলার আসামিদের খুন-জখমের হুমকি দেয় আইয়ুব আলীর লোকজন। এ ধরনের হুমকি পেয়ে চরম আতঙ্কে দিনরাত কাটে সাদা মিয়াদের। মামলাটি চলমান অবস্থায় আসামি সাদা মিয়ার পিতা আয়েজ উদ্দিন, মাতা মাইরন বেগম, ভাই চান মিয়া, বাদশা মিয়া ও বোন মালেক বেগম ওই বাদীগংদের হুমকিতে হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন। মোট মোট ৫ আসামির মৃত্যু হলেও ক্ষান্ত থাকেনি আইয়ুব আলীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর সাদা মিয়ার একটি ছাগল কলাগাছের পাতা খেলে তখন আইয়ুব আলী, জাহানারা বেগম, আঙ্গুর মিয়াসহ আরও অনেকে উত্তেজিত হয়ে সাদা মিয়া ও তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে বাধা দিতে গিয়ে আইয়ুব আলী গংরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদা মিয়া ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত কাটাযখম করেছে। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সাদা ও সাজেদাকে রংপুরে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করেছেন। এ ঘটনায় সাদা মিয়ার ছেলে শাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা সম্প্রতি জামিনে এসে বাদী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী শাহারুল ইসলাম ও সাদা মিয়া বলেন, সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য আমরা মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছি। আসামিরা জমিনে এসে আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাদুল্লাপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক ইউসুফ আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও কলটি গ্রহণ করেনি তিনি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 























