বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। গত ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেই নোটিশের জবাব দিয়েছেন ওই ৬ নেতা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতির বরাবরে লিখিত জবাব পাঠিয়েছেন তারা।
এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত তাদের পৃথক নোটিশ দিয়েছিলেন।
গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীম, যুগ্ন আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শাকিল শেখ, সংগঠক অতনু সাহা ও মেহজাবিন জ্বীম পৃথকভাবে ওই নোটিশের জবাব দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গাইবান্ধা জেলা শাখার ৬ নেতার পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে উল্লেখ করা হয়- গত ৫ ডিসেম্বরের ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরছি। গত ২৪ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা এনসিপি কমিটি গঠন করা হয়। কাজ না করে নতুন নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে রাখলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা সোশ্যাল মিডিয়ায় এর সমালোচনা করে। পরবর্তীতে ৩ ডিসেম্বর আবার পুণরায় সংশোধিত কমিটি প্রকাশ করা হয়। সেই কমিটি প্রকাশ করা হয় জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা খাদেমুল ইসলাম খুদিকে আহ্বায়ক করে। যিনি নতুন বাংলাদেশে তার আওয়ামী পন্থি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাদের কাছে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য বারবার আহ্বান জানায়। তাতে তারা ব্যবস্থাগ্রহণ না করে বিষয়টি মেনে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। জেলা কমিটি গঠনের এরূপ কর্মকাণ্ড হওয়ায় সাধারণ ছাত্র-জনতা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানায়। ফলে ৫ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামীলীগের দোসরদের জাগরণ করায় এনসিপি অস্থায়ী কার্যলয়ে তালা দিয়ে প্রতিবাদ জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলার নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় অনেকেই।
জবাবে আরও বলা হয়- এনসিপি গঠিত হয়েছ ২৪ গণঅভ্যুত্থানে উপর দাড়িয়ে। যাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি সেই আওয়ামী লীগের দোসর যদি গণঅভ্যুত্থান প্লাটফর্মকে নেতৃত্ব দেয় সেটা আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা সেই জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
এদিকে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে গাইবান্ধা জেলায় ৬ জন শহীদ ও প্রায় ৩০০ জন আহত। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের লোকজনকে পুর্নবাসন করবে এটা গাইবান্ধার জনগণ কখনোই মেনে নিবে না।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের পূর্ণবাসন করায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি আমাকে অপসারণ করা হয়, সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয় তাতে আমার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার সংগ্রাম জারি থাকবে সব সময়। আশা করি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সংসদ শক্ত অবস্থান নিবে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 























