বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি’ দিচ্ছে ভারত

মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে আছে ভারত। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। সম্প্রতি করোনার টিকা উপহার দিয়ে গভীর কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছে প্রতিবেশী ভারত।
২০০৬ সাল থেকেই প্রতি বছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে বন্ধুপ্রতিম এ দেশটি।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিতে যাচ্ছে ভারত। বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গুলশান শাখায় সরাসরি বৃত্তির টাকা হস্তান্তর শুরু হয়েছে।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনন্য ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম মানুষের সঙ্গে ভারতের সরকার ও জনগণের অন্তর্নিহিত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনের দেয়া তথ্য মতে, ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করেছিল ভারত সরকার। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয়েছিল। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি দেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। এর অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত।
মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হবে। উভয় প্রকল্পের জন্য ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ভারত সরকার।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্যে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারা দেশ থেকে উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করেছে।
জনপ্রিয়

দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি’ দিচ্ছে ভারত

প্রকাশের সময়: ০৬:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে আছে ভারত। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। সম্প্রতি করোনার টিকা উপহার দিয়ে গভীর কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছে প্রতিবেশী ভারত।
২০০৬ সাল থেকেই প্রতি বছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে বন্ধুপ্রতিম এ দেশটি।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিতে যাচ্ছে ভারত। বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গুলশান শাখায় সরাসরি বৃত্তির টাকা হস্তান্তর শুরু হয়েছে।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনন্য ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম মানুষের সঙ্গে ভারতের সরকার ও জনগণের অন্তর্নিহিত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনের দেয়া তথ্য মতে, ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করেছিল ভারত সরকার। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয়েছিল। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি দেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। এর অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত।
মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হবে। উভয় প্রকল্পের জন্য ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ভারত সরকার।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্যে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারা দেশ থেকে উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করেছে।