তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভশীল। সম্প্রতি জেলার কৃষকের মাঠে দুলছে থোকা থোকা কাঁচা মরিচ। চলতি মৌসুমে অধিক ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় মরিচ ক্ষেতের সবুজের সমাহার।এসময় কামারদহ ইউনিয়নের বার্না আকুব (নওদাপাড়া) গ্রামের কৃষক এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহমিনা তাদের ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে মন খুলে হাসছিলেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়ে টানা বর্ষণ আর বন্যায় নষ্ট হয় মরিচ ক্ষেত। কিন্তু এবছর কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। অন্যান্যা বছরের তুলনায় আবহাওয়া রয়েছে অনুকুলে।যার কারণে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।বিঘাপ্রতি গড়ে প্রায় ২৫ মণ কাঁচা মরিচ ঘরে তুলবেন কৃষকরা।

এর আগে টানা লকডাউন চলাকালে এসব মরচি প্রতিমণ এক হাজার টাকা দামে বিক্রি করছিলেন তারা। এরপর লকডাউন শীথিল হওয়ার ১০ দিন পর একই মরিচ বিক্রি করা হচ্ছিল ৬ হাজার টাকা দরে। এমনিভাবে অধিক দাম পাওয়ায় কৃষকের মনে দেখা দেয় আনন্দের বন্যা। কিন্তু এরইমধ্যে ভারত থেকে শুরু হয় কাঁচা মরিচের আমদানি । ফলশ্রুতিতে বাজারে চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশী থাকায় বর্তমানে প্রতিমণ দেশী মরিচ ২ হাজার ৫০০ টাকা দামে বিক্রি করছে কৃষকরা। এমন দাম স্থিতিশীল থাকলে তবুও দ্বিগুণ লাভ থাকবে বলে জানান তারা।
কৃষক এনামুল হক জানান, বর্গা নিয়ে ১৪ শতক জমিতে বাগুরা জাতের মরিচ আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে অনেক ভালো। সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য খরব বাদে দ্বিগুণ লাভ থাকবে তার।

তিনি আরও বলেন, গেল লকডাউনের কবলে মরিচের বাজার দাম কম ছিল। বর্তমানে বাজারে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ভারতের মরিচ না ঢুকলে আরও বেশী দাম পাওয়া যেতো।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জাগো২৪.নেট-কে জানান, মরিচ চাষিদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রণোদনা দেয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জাগো২৪.নেট-কে বলেন, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ রয়েছে। এ বছর অধিক ফলন ও দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট 


















