তালেবানের কথা রেখেছে মার্কিন বাহিনী। বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন তারা। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় থাকলেও ৩০ আগস্ট হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ বিমানটি ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।
গত এপ্রিলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সৈন্য প্রত্যাহার শেষ করল মার্কিনিরা।
এ বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন। ১৪ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশ নিয়ে গেছে।
এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়ছি। আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়; প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তিও।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আল কায়েদার জঙ্গি হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে।
মার্কিন অভিযানে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত তালেবান আবারও ক্ষমতায় ফিরেছে গত ১৫ আগস্ট। তালেবানের শাসনের ভয়ে হাজার হজার আফগান দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরে ভিড় করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানে তাদের সহযোগীদের সরিয়ে নেয়।
কাবুল বিমানবন্দর শেষ পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তারা বিমানবন্দর থেকে সামরিক বেসামরিক লোকজন সরিয়ে নেয়। তবে শেষ মুহূর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনী নিজেদের এবং আমেরিকান কূটনীতিকদের নিরাপদে কাবুলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। অবশেষে সেই আফগান যুদ্ধের অবসান হলো।
আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
সুত্র: সিটি নিউজ ঢাকা
জাগো২৪.নেট, আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
























