তুরস্কসহ সারা বিশ্বে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা এনজিন আলতান দোজায়তান। তিনি এর আগে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সময়কে উপজীব্য করে বানানো তুর্কি সিরিজ ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’-এ অভিনয় করে বেশ খ্যাতি পান বিশ্বজুড়ে।
নতুন এ সিরিজটি প্রযোজনা করেছে তুরস্কের বিখ্যাত কোম্পানি ‘ইএস ফিল্ম’। কোম্পানিটি এর আগে আরেক ঐতিহাসিক সিরিজ ‘সুলতান আব্দুল হামিদ’ প্রযোজনা করে প্রশংসা কুড়ায়। উসমানীয় নাবিক খায়রুদ্দিন বারবারোসার জীবনীভিত্তিক তুর্কি সিরিজি ‘বারবারুস ভাইয়েরা- ভূমধ্য সাগরের তরবারি’।
খায়রুদ্দিন বারবারুস ছিলেন, উসমানীয় সাম্রাজ্যের অ্যাডমিরাল অফ দ্য ফ্লিট। শৈশবে তার নাম ছিল ‘খিজির’। তার আরো তিন ভাই ছিল। তাদের নাম যথাক্রমে ইসহাক, ইলিয়াস ও অরুচ।
খিজির ছিলেন তার বাবা মায়ের তৃতীয় সন্তান। চার ভাইয়ের মধ্যে খিজির ও অরুচের দাড়ির রং ছিল কমলা রঙের। এই কমলা রঙের দাড়ির কারণে ইউরোপীয়রা তাদের ‘বারবারুস ভাতৃদ্বয়’ উপাধি দিয়েছিল।
অন্যদিকে উসমানীয় সুলতান সুলাইমান খিজিরকে ‘খায়ের আদ-দিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যার অর্থ ইসলামের শ্রেষ্ঠতম। ভূমধ্য সাগরে তখন খ্রিষ্টানদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। “বারবারুস ভাইয়েরা” তাদের হটিয়ে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে সেখানে নিজেদের প্রতিপত্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। এর পেছনে রয়েছে তাদের অসামান্য সংগ্রাম, সেসব নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ‘বারবারোস ভাইয়েরা- ভূমধ্য সাগরের তরবারি’ সিরিজটি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন টিআরটি ১-এ ১ম ভলিউমের সম্প্রচার শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় সম্প্রচার অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ,ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সিরিজটি। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি (আরবি) ও তুর্কি প্রেস।
আব্দুল্লাহ আল নাঈম, করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 
























