বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের জনগণকে একযোগে শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের প্রথম দিন ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত বিশেষ এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত রয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
রাজধানীসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সারা দেশের মানুষের সঙ্গে যুক্ত হন। শপথ অনুষ্ঠানটি সব টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে যে শপথ পাঠ করালেন, তা হলো-
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে তাদের স্বাগত জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পরপরই সমবেতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এর পরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ চিঠি পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দেয়া হয়। বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেয়া যাবে। অন্যান্য স্থান সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করবে। এ সময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলে চিঠিতে জানানো হয়। সুত্রঃ সিটি নিউজ
নিউজ ডেস্ক, জাগো২৪.নেট 






















